খুলনা | শনিবার | ১৫ মার্চ ২০২৫ | ১ চৈত্র ১৪৩১

ঢাকাস্থ ভারতীয় ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব, প্রতিবাদ

শেখ হাসিনাকে থামান, ফের দিল্লিকে ঢাকার বার্তা

খবর প্রতিবেদন |
০৫:৩০ পি.এম | ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫


দিলি­তে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য ও বিবৃতি দেওয়ায় ভারতের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনাকে বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত রাখতে ভারতকে অনুরোধও জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে তার হাতে একটি প্রতিবাদপত্র হস্তান্তর করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। 
ভারত সরকারকে অবিলম্বে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝা পড়ার চেতনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করে বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) ভারতে থাকাকালীন অবস্থায় তাঁকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এই ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট এবং উসকানিমূলক বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত রাখতে ভারতকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘ শেখ হাসিনাকে প্রতিহত করার বিষয়ে ভারতকে আমরা লিখিত ভাবে অনুরোধ করেছি, তিনি যাতে এ ধরনের বক্তব্য বিবৃতি না দেন। এটা বাংলাদেশের বিপক্ষে যাচ্ছে। আমরা এখনও এটার কোনো জবাব পাইনি। গত কয়েক দিনের ঘটনা প্রবাহের কারণে আজ (বৃহস্পতিবার) আমরা আবার তাদের প্রতিবাদলিপি দিয়েছি। ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে ডেকে প্রতিবাদপত্র দেওয়া হয়েছে যাতে তাকে প্রতিহত করা হয়।’ 
তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতকে আমরা লিখিতভাবে অনুরোধ করেছি শেখ হাসিনাকে সংযম করার জন্য, যেন উনি এ ধরনের বক্তব্য না দেন; যেটা বাংলাদেশের বিপক্ষে যাচ্ছে। আমরা এটার কোনো জবাব পাইনি এখনও। গত কয়েকদিনের কার্যকলাপের কারণে বৃহস্পতিবার আরেকবার তাদের প্রতিবাদ নোট দিয়েছি। ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রদিবাদ নোটটি দিয়েছি এবং আমরা আবারও অনুরোধ করেছি, যেন তাকে থামানো হয়। ‘কারণ তার যে বক্তব্য প্রধানত মিথ্যা। উনি যেসব কথা উলে­খ করছেন সেটা এক ধরনের অস্থিশীলতা উসকে দিচ্ছে বাংলাদেশে। এজন্য আমরা অনুরোধ করেছি এই অনুশীলনটা বন্ধ করার জন্য।
প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে ফেরত পেতে ক‚টনৈতিক পত্র দিয়েছে বাংলাদেশ। সরকারের পক্ষ থেকে বার বার বলা হয়েছে এতে কাজ না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে কারও কাছ থেকে সহযোগিতা বা মদদ পাচ্ছেন কিনা-জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এটার জবাব দেওয়া আমার পক্ষে কঠিন। আমার মনে হয় ভারতীয়তা আরও ভালো জবাব দিতে পারবেন। তারা আমাদের জানিয়েছেন, তারা তাকে কোনো প্ল্যাটফর্ম দিচ্ছেন না। কিন্তু উনি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এটা করছেন এবং যে প্লাটফর্ম ব্যবহার করছেন সেগুলো আন্তর্জাতিক, আমেরিকা ভিত্তিক ইত্যাদি। এটা হলো ভারতের অবস্থান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের কাছে হস্তান্তর করা প্রতিবাদ নোটের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সরকারের গভীর উদ্বেগ, হতাশা এবং গুরুতর আপত্তির কথা তুলে ধরেছে। কারণ এই ধরনের বক্তব্য (শেখ হাসিনার) বাংলাদেশের জনগণের অনুভূতিতে আঘাত করছে।’
মন্ত্রণালয় আরও জোর দিয়ে বলেছে, ‘শেখ হাসিনার এই ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের প্রতি একটি শত্র“তামূলক কাজ হিসেবে বিবেচিত এবং দুই দেশের মধ্যে একটি সুস্থ সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য সহায়ক নয়।’

্রিন্ট

আরও সংবদ