খুলনা | মঙ্গলবার | ১৮ মার্চ ২০২৫ | ৩ চৈত্র ১৪৩১

আবেদনের দুই মাসেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের

নগরীর খালিশপুর হাউজিং এস্টেটের ভবনে ওয়াসার অবৈধ সংযোগ নেয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০২:২৮ এ.এম | ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫


খুলনা ওয়াসার অবৈধ সংযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত পানি ব্যবহার করছেন নগরীর খালিশপুর হাউজিং এস্টেটের এক নারী গ্রাহক। ওয়াসার আইন অনুযায়ী পানির লাইন নিতে হলে নিজ নামে জমি ও ভবনের বৈধ কাগজপত্র থাকা বাধ্যতামুলক হলেও কোন এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় তিনি কোন দলিলপত্র ছাড়াই তার নামে উক্ত লাইন নিয়েছেন। বিষয়টির তদন্তপূর্বক উক্ত অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে ওয়াসা বরাবর আবেদনের প্রায় ২ মাস পার হলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি।    
আবেদনকারী মোস্তাফিজুর রহমান খান নগরীর খালিশপুর হাউজিং এস্টেটের প্ল¬ট নং-৪২, সেন্ট্রাল সাউথ ব্ল¬ক, রোড নং-১৬, খুলনা-৯০০০ এর স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি অভিযোগে উলে­খ করেন, উক্ত বাড়িটির মালিক আমার মাতা মৃত সুরাইয়া বেগম। তবে মায়ের মৃত্যুর পর ওয়ারেশ সূত্রে আমার চার ভাই এবং দুই বোন উক্ত বাড়ির অংশীদার। সেই সূত্রে আমার এক ভাইয়ের নামে উক্ত বাড়ির ওয়াসার সংযোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু উক্ত বাড়ির দ্বিতীয় তলায় শামিমা রহমানের (গ্রাহক নং-৪১৯৪০) নামে একটি সংযোগ অবৈধ পন্থায় নেওয়া হয়েছে। যেহেতু উক্ত বাড়িতে আমার ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান খানের নাম (গ্রাহক নং-৪৪১৭৪) একটি বৈধ সংযোগ আছে। সেহেতু উপরে উলে­খিত গ্রাহক নং-৪১৯৪০ এর  অবৈধ লাইনটির কারণে মাসিক বিলে বিভিন্ন রকমের সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি উক্ত এলাকার মিটার রিডার নিজেও ওয়াকি বহাল আছে বলে আবেদনে উলে­খ করা হয়েছে। তিনি অবৈধ সংযোগটি (গ্রাহক নং-৪১৯৪০) বিচ্ছিন্ন করার জন্য কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে অবৈধ সংযোগ নেয়া শামিমা রহমান জানান, শাশুড়ির নামে উক্ত বাড়ি হলেও আমি পুত্রবধূ হিসেবে উক্ত বাড়ির ওয়ারিশ। ওয়াসার দপ্তরে তার বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন এ নিয়ে তদন্ত হয়েছে। কর্তৃপক্ষের কাছে আমি কাগজপত্র জমা দিয়েছি। তারাই এখন সিদ্ধান্ত নেবে। 
তবে অবৈধ সংযোগ নেয়ার সহায়তাকারী ওয়াশার উক্ত এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত রফিক জানান সংযোগটি বৈধ কি-না অবৈধ এ বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদন্ত করছে। সংযোগটি অবৈধ হলে তারাই নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।  
 

্রিন্ট

আরও সংবদ