খুলনা | বুধবার | ১২ মার্চ ২০২৫ | ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

লিবিয়ায় দুটি গণকবরে মিলল ৫০ অভিবাসীর মরদেহ

খবর প্রতিবেদন |
০২:০৩ পি.এম | ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 
লিবিয়ার দক্ষিণ-পূর্বের এক শহরে দুটি গণকবর থেকে প্রায় ৫০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির সিকিউরিটি ডিরেক্টরেট জানিয়েছে, এসব মরদেহ উত্তর আফ্রিকার ওই দেশটির মধ্য দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টাকারীর অভিবাসীদের মরদেহ। গতকাল রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

মরদেহগুলো কুফরা শহর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শহরটি লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ১ হাজার ৭১২ কিলোমিটার দূরে।

সিকিউরিটি ডিরেক্টরেট জানায়, গত শুক্রবার দক্ষিণ-পূর্বের কুফরা শহরের একটি খামারে পাওয়া এক গণকবরে ১৯টি মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আরেকটি গণকবরে ৩০টিরও বেশি মরদেহ পাওয়া যায়।

কুফরার সিকিউরিটি চেম্বারের প্রধান মোহাম্মদ আল-ফাদেইল জানান, একটি অভিবাসী আটক কেন্দ্রে অভিযানের পর এই মরদেহগুলো পাওয়া যায়। জীবিতদের বক্তব্য অনুযায়ী, ওই এলাকায় প্রায় ৭০ জনকে কবর দেওয়া হয়েছিল। অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।

লিবিয়ার পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে অভিবাসী ও শরণার্থীদের সাহায্যকারী একটি দাতব্য সংস্থা আল-আবরিন জানিয়েছে, গণকবরে পাওয়া মরদেহগুলো পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাদের গুলি করে হত্যার পর কবর দেওয়া হয়েছিল।

২০১১ সালে এক গণঅভ্যুত্থানে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির উৎখাতের পর থেকে দেশটি অবৈধভাবে অভিবাসীদের ইউরোপে যাওয়ার পথ হয়ে উঠেছে। চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ব্রেগার পশ্চিমের আল-আকিলা উপকূল থেকে ২৩ জন বাংলাদেশি অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ভূমধ্যসাগর হয়ে অবৈধ উপায়ে ইতালি যাওয়ার সময় নৌকাডুবিতে মৃত্যু হয় তাদের।

এছাড়াও গত বছর ত্রিপোলির দক্ষিণে শুয়াইরিফ অঞ্চলে অন্তত ৬৫ জন অভিবাসীদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগেও দেশটিতে অভিবাসীদের মরদেহের গণকবর পাওয়া গিয়েছিল। আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের যারা ইউরোপে অবৈধ অভিবাসন নিতে চান তাদের প্রধান ট্রানজিট রুট।

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশটির সীমান্তে অবস্থিত ছয়টি দেশ— চাদ, নাইজার, সুদান, মিসর, আলজেরিয়া ও তিউনিসিয়ার সঙ্গে পাচার কার্যক্রম চালিয়ে আসছে মানব পাচারকারীরা।

মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবছর লিবিয়ায় জোরপূর্বক শ্রম, মারধর, ধর্ষণ ও অত্যাচারের শিকার হন হাজারো অবৈধ অভিবাসী। যারা আটকা পড়ে লিবিয়া ফিরে আসেন, তাদের সরকার পরিচালিত ডিটেনশন সেন্টারে আটক রাখা হয়, যেখানে তারা অত্যাচার, ধর্ষণ ও টাকা আদায়ের শিকার হন।

্রিন্ট

আরও সংবদ