খুলনা | শুক্রবার | ১৪ মার্চ ২০২৫ | ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১

তালায় বাস্তবায়িত টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণ দ্রুত প্রদানের দাবি জমির মালিকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা |
১১:৪৫ পি.এম | ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫


সাতক্ষীরার তালায় বাস্তবায়িত টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণ দ্রুত প্রদানের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগি জমির মালিক উপজেলা বিল কমিটির নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার তালা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বালিয়া এলাকার পাখিমারা বিল কমিটির সদস্য গোলদার আশরাফুল হক।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৬ বছর যাবত সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খেশরা, জালালপুর ও মাগুরা ইউনিয়নে অবস্থিত পাখিমারা বিলে সরকার কর্তৃক টিআরএম কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়। বিলটির আয়তন ১২.৮৭ কিলোমিটার ভেড়িবাঁধ বিশিষ্ট ১ হাজার ৫শ’ ৬২ একর জমি। উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার মানুষ এই বিলের উপর নির্ভরশীল। ১৭ কিলোমিটার নদী খননের বিপরীতে পাখিমারা বিলে টিআরএম বাস্তবায়নের ফলে প্রত্যক্ষভাবে ১৫ লাখ এবং পরোক্ষভাবে ৪০ লাখ মানুষ উপকৃত হয়েছে। এলাকার প্রধান সেক্টর কৃষিতেও ব্যাপক উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, রাস্তা ঘাটের যোগাযোগসহ জন জীবনযাত্রার মান ফিরে এসেছে।
তিনি আরো বলেন, সরকারের থেকে প্রতিশ্র“তি দেওয়া হয়েছিল টিআরএম চলাকালীন সময় পর্যন্ত জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বিলে ৬ বছর টিআরএম কার্যক্রঘ পরিচালিত হলেও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে ২ বছরের। যার প্রকল্প অনুমোদনে ক্ষতিপূরণের হার ধরা হয়েছিল একর প্রতি বছরে ৪২ হাজার ৬শ’ ৯৬ টাকা। এতে করে ৬ বছরে পাওনা টাকার পরিমাণ দাড়ায় ৪০ কোটি ১ লাখ ৪৬ হাজার ৯শ’ ১২ টাকা। কিন্তু ভূক্তভোগীরা পেয়েছে ২ বছরে ১০ কোটি ১২ লাখ ৭২ হাজার ৭শ’ ৬৪ টাকা।
গোলদার আশরাফুল হক আরো বলেন, সংযোগ খাল খননের জন্য ১০.২৮ একর জমি এবং বাস্তচ্যুত ৩৫টি পরিবারকেও পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। এদিকে পেরিফেরিয়াল বাঁধ ভেঙে গ্রাম এলাকা প্লাবিত হয়েছে। যার ফলে অধিকাংশ পরিবার ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাছে তাদের। আবার অনেকেই এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। এসময় গোলদার আশরাফুল হকসহ বিল কমিটির নেতারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট টিআরএম এর বাকি ৪ বছরের ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তালা উপজেলা নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় পানি কমিটির সদস্য সেলিম আক্তার স্বপন, উপজেলা পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল¬ুুর রহমান, উত্তোরণ কর্মকর্তা দিলিপ সানা উপস্থিত ছিলেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ