বিদেশে লোক পাঠানোর নামে ৬৯ লাখ ৬৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ফায়ার ফ্লাই টুরস এন্ড ট্রাভেলরেস পরিচালক সৈয়দ মেহেদী হাসান রুদ্রের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার যশোর অফিসের পরিচালক যশোর সদরের রামনগর গ্রামের রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল গোলাম কিবরিয়া অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছে কোতোয়ালি থানার ওসিকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী মিলন আহমেদ। 
আসামি রুদ্র বরিশাল মেহেন্দীগঞ্জ থানার পাতারহাট গ্রামের মৃত সৈয়দ তেফাজ্জেল হোসেনের ছেলে ও ঢাকা ওয়ারীর আরকে মিশন রোডের বাসিন্দা।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, রাশেদুল ইসলামের সাথে আসামি রুদ্রের ঢাকার এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে লেখাপাড়ার সময় পরিচয়। সেই সুবাদে তাদের মধ্যে সুম্পর্ক ছিল। রুদ্র ঢাকায় ফায়ার ফ্লাই টুরস এন্ড ট্রাভেলস নামে একপি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতো। সেই সুবাদে রাশেদুল ইসলামকে বুঝিয়ে যশোরে একটি শাখা অফিস করতে পরামর্শ দেয়। রাশেদুল ইসলাম তার নিজ খরচে যশোর শহরের চার খাম্বার মোড়ে একটি অফিস করেন। এরপর রাশেদুল বিদেশে যেতে ইচ্ছুক এমন ১৮ জনের পাসপোর্ট আসামি রুদ্রের কাছে দেয়। 
একই সাথে ২০২৪ সালের ১৯ ফেব্র“য়ারি থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আসামির ব্যাংক হিসাবে মোট ৫৯ লাখ সাড়ে ৬৩ হাজার টাকা দেয়া হয়। এপর বিদেশে যেতে ইচ্ছুক ১৮ জনকে পাঠাতে ব্যর্থ হয়ে ঘোরাতে থাকে আসামি রুদ্র। এর মধ্যে আসামি রুদ্র ১০ জনের ভিসা পাঠালেও পরীক্ষা করে তা জাল প্রমাণিত হয়। এরপর টাকা ফেরত চাইলে না দিয়ে ঘোরাতে থাকে। গত ৩০ জানুয়ারি আসামি রুদ্র যশোর অফিসে আসলে টাকা ফেরত চাইলে দিতে অস্বীকার করে। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।