খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসা প্রশাসনের ছাত্র অর্ণব হত্যা মামলায় ইনসান শরীফ নামের এক যুবককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে রোববার তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মোঃ রাকিবুল ইসলামা মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে ১০ ফেব্র“য়ারি রাতে সোনাডাঙ্গা থানাধীন ময়ূরব্রিজ এলাকা থেকে তাকে অস্ত্র এবং ২টি কর্তুজসহ গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার ইনসান শরীফ সোনাডাঙ্গ ৩য় আবাসিক এলাকার জনৈক কবির খাঁ’র বাড়ির ভাড়াটিয়া মোশারেফ হোসেনের ছেলে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আশরাফুল আলম বলেন, অর্ণব হত্যাকান্ডটি স্পর্শকাতর মামলা। যথেষ্ট দায়িত্বের সাথে আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যেখানে যে তথ্য আমরা পাচ্ছি তা গুরুত্বের সাথে দেখছি। ১০ ফেব্র“য়ারি রাতে আমরা এমন একটি সংবাদ পেয়েছিলাম। সাথে সাথে ময়ূরব্রিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ওয়ান শুটার ও ২টি কর্তুজসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে অনেক কিছু স্বীকার করেছে। কিন্তু নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেনি। এরা অনেক প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে তারা খুব পারদর্শী। তিনি বলেন, এর আগে অর্ণব হত্যা মামলায় সাইফুল গাজীকে বয়রা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আদলতে স্বীকারোক্তি দিতে চেয়ে সে জবানবন্দি প্রদান করেনি। তবে হত্যাকান্ড সম্পর্কে পুলিশ অনেক তথ্য পেয়েছে বলে তিনি আরও জানান।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার গোলাম রাব্বানি বাদে গ্রেফতার সকল সন্ত্রাসী বিভিন্ন মামলার আসামি। তারা সকলে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে প্রফেশনাল। আমাদের কাছে তারা ঘটনার বিবরণ দিলেও আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে চাই না। তবে এ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে আমারা খুব গুরুত্বের সাথে কাজ করে যাচ্ছি। তবে খুব শিগগিরই এ হত্যাকান্ডের রহস্য নগরবাসীর কাছে প্রকাশ করা হবে।
উলে­খ্য, ২৪ জানুয়ারি রাত পৌনে ৯টার দিকে সন্ত্রাসীরা খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসনের ছাত্র অর্ণব কুমারকে প্রথমে গুলি ও পরবর্তীতে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার দিন রাতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে রাতভর অভিযান চালিয়ে নিহতের ৩ বন্ধুকে হেফাজতে নেয় তথ্য জানার জন্য। হত্যাকন্ডের পরের দিন রাত ১০ দিকে নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। ওই দিন রাতে খুলনা মেট্রোপালিটন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অর্ণবের ৩ বন্ধুকে সামনে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু বন্ধু গোলাম রাব্বানির কথা অসংলগ্ন থাকায় তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় এবং অপর দু’বন্ধু খালেদ ও ফহিমকে শর্ত সাপক্ষে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এ হত্যা মামলায় বন্ধু গোলাম রাব্বানিসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।