খুলনা | সোমবার | ৩১ মার্চ ২০২৫ | ১৭ চৈত্র ১৪৩১

ভাষা আন্দোলন এবং তৎকালীন প্রেক্ষাপট

এডভোকেট এম মাফতুন আহমেদ |
০১:৫৭ এ.এম | ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫


“ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ
দুপুর বেলায় অক্ত
বৃষ্টি নামে বৃষ্টি কোথায়?
বরকতের রক্ত
---প্রভাতফেরি, প্রভাতফেরি
আমায় নেবে সঙ্গে,
বাংলা আমার বচন
জন্মেছি এই বঙ্গে।”
সমকালীন বাংলা ভাষার প্রধান কবি আল মাহামুদের কবিতার মতোই আবেগ প্লাবনে বয়ে যাচ্ছে প্রতিটি বাংলাভাষী মানুষের হৃদয়ে অলিন্দে, ধমনীতে, দিনরাতের পালাবদলে, বছর ঘুরে আবার এসেছে অমর, অনিবাশী, অম্লান, অক্ষয় অমর ফেব্র“য়ারি মাস। ফেব্র“য়ারি মাস মানেই ভাষার মাস। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য সংগ্রামের মাস। এই মাসে ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে যেয়ে অনেক রক্ত দিতে হয়েছে। সংগ্রাম করতে হয়েছে। এই আন্দোলন সংগ্রামে শ্যামল এই বাংলায় কেউ গাজী হয়ে ফিরেছেন; কেউ শহিদ হয়েছেন। বীর শহিদ আবুল বরকত, শফিকুর রহমান, আব্দুস সালাম, আব্দুর জবক্ষার, রফিকুল ইসলাম সহ নাম জানা শত শত বীর শ্রেষ্ঠ শহিদী সন্তানদের প্রতি জানাই অকৃতিম শ্রদ্ধা। এসব শহিদদের পরিবার বিশেষ করে যারা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় সিপাহ্সালারের ভূমিকা পালন করেছিলেন সেসব বীরশ্রেষ্ঠ সন্তানরা যারা আজও লাল সবুজের পতাকায় আচ্ছাদিত এই শ্যামল বাংলায় বেঁচে আছেন; তাদের প্রতি জানাই অকুন্ঠ ভালবাসা। অন্তরের আকুল স্থল থেকে জানাই একরাশ পরম শ্রদ্ধা।
ফেব্র“য়ারি মাস প্রতি বছর আসে। এবারও এসেছে। রক্তঝরা এ মাসকে সামনে রেখে আমরা কিছু লিখছি। সেমিনার সভা-সমাবেশে কিছু কথা তুলে ধরছি। দিনটি পালন করছি। তবে গতানুগতিক ধারায়। একটি জাতির গৌরব গাঁথা রক্তাক্ত এই স্মৃতি বিজড়িত দিনটি কী শুধু দিবস ভিত্তিক আলোচনা বা মিষ্টি বিতরণের মধ্যেই সীমাবদ্ধতা থাকবে? জাতি আজ অনেক কিছু জানতে চায়, আগামি প্রজন্ম অনেক কিছু শিখতে চায়। কেন বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে সেদিন ষড়যন্ত্র হয়েছিল? কেন সেদিন প্রতিক্রিয়াশীল শাসক গোষ্ঠি বাঙালির মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল? কারা আমাদের অস্তিত্বকে সমূলে বিনাশ করতে চেয়েছিল? কী সূদূর প্রসারি ষড়যন্ত্র ছিল? ভাষা আন্দোলনের এই রক্তাক্ত ময়দানে কারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন? সেদিন সংবাদপত্রের ভূমিকা কী ছিল? বাঙালি হয়ে স্ব-জাতির বিরুদ্ধে কারা বিভীষণের ভূমিকা পালন করেছিলেন? কারা ভাষার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিলেন?
প্রত্যেক জাতির কিছু ইতিহাস থাকে, গৌরব গাঁথা দিবস থাকে। যাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে একটি জাতির সভ্যতা ও সংস্কৃতি। তাই ভাষা আন্দোলন আমাদের ইতিহাসের পাতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কারণ ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজকের স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়। তাই এই দিনের সত্যিকার নির্মোহ ইতিহাস জাতির মাঝে তুলে ধরা উচিত। এই গৌরবান্বিত জাতি আগামি প্রজন্মের জন্য কী ইতিহাস রেখে গেলেন? আর ইতিহাস থেকে তারা কী শিক্ষা নিলেন? আমরা তো আত্মভোলা একটি বিস্মৃত জাতি। সকালের খবর বিকেলে মনে রাখতে পারি না। যে জাতি যত ইতিহাস সমৃদ্ধ; সে দেশ ততবেশি উন্নত। ততবেশি সমৃদ্ধশালী। ভাষা আন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত হচ্ছে। প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত করে অনেকে ব্যক্তি বন্ধনায় মেতে উঠেছে। সবাই ভাষা সৈনিক সাজার চেষ্টা করছেন। নানাভাবে ফায়দা নেয়ার চেষ্টায় অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। এ সব ইতিহাস বিকৃত ছাড়া কিছুই না। যুগে যুগে ধরে ইতিহাস বিকৃত হয়ে আসছে। তবে এটাও সত্য যে প্রকৃত ইতিহাস কখনও বিকৃত হয় না। কারণ ইতিহাস একটি স্রোতস্বি^নী নদীর মত। সত্য একদিন উদঘাটিত হবেই হবে। তাই ইতিহাসকে বিকৃতি করে বা মোসাহেবী করে কেউ কখনও স্থায়িত্ব অর্জন করতে পারেনি। আত্মমর্যাদা সম্পন্ন কোন বীরের জাতি কাউকে পালিশ-মালিশ করেন না। তারা তৈল মর্দন বোঝেন না। তাই নির্লোভ নির্মোহভাবে সত্যিকার ইতিহাস জাতির মাঝে তুলে ধরতে হবে। এসব ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ খুলে দিতে হবে। প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। ভাষার এই মাসে বীরশ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নতুন প্রত্যয়ে আগামির প্রত্যাশায় এগিয়ে যেতে হবে। আসুন ফিরে দেখি ইতিহাসের পাতায় এ বিষয়ে কী বলে? 
প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামের একটি ধারাবাহিকতা থাকে।এই ধারাবাহিকতাকে কেন্দ্র করে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে আন্দোলন আজকের নয়। কোন কোন আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা ঘটেছে। জন বিস্ফোরণ ঘটেছে। কোনটা ঘটেনি। এতটুকু পার্থক্য মাত্র। নানা জনের নানা মত। অনেকেরই ধারণা, ভাষা আন্দোলন ছিল উনিশশো বায়ান্নর একটি ঘটনা। আবার অনেকের মতে ভাষা আন্দোলন শুরু হয় উনিশশো আটচলি­শে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম গভর্নর জেনারেল মুহম্মদ আলী জিন্নাহর উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণার প্রতিবাদে। আসলে কোনটা সত্য নয়।
তাহলে পাঠকের মনে একরাশ প্রশ্ন এসে যায়, কোনটা সত্য? কোন পটভূমিতে ভাষার আন্দোলন শুরু হয়েছিল? ইতিহাস এ বিষয়ে কী বলে? আসুন ইতিহাসের বাঁকে একটু ফিরে যাই।
১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট বৃটিশ শাসনের অবসান ঘটিয়ে পাকিস্তান ও ভারত নামে দু’টি স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। আজকের বাংলাদেশ তখন তদানীন্তন পূর্ববঙ্গ একটি প্রদেশ হিসেবে পাকিস্তান রাষ্ট্রের অন্তর্ভূক্ত। স্বাধীন ভারতের রাষ্ট্রভাষা যে হিন্দি হবে সে সিদ্ধান্ত ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আগেই ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কী হবে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগেই পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়ে যায়। অতঃপর গোটা পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক বা ধর্মীয়গত নানা অভিন্নতা বিশেষ করে মোগল, পাঠান, তুর্কীদের দীর্ঘ শাসনের ফলে ফার্সি এবং উর্দু ভাষার প্রাধান্যতা পায়। আজকের ইংরেজি ভাষার ন্যায় উর্দু ভাষাকে অনেকে আভিজাত্যের ভাষা হিসেবে মনে করতেন। বিশেষ করে প্রাচীনপন্থি ও আধুনিকপন্থি উভয় ধরণের শিক্ষা কেন্দ্র যথাক্রমে দেওবন্দ ও আলীগড়ের উর্দু অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় এ ভাষার প্রতি কিছুটা হলেও দুর্বলতা প্রকাশ পায়।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার বহু পূর্বেই ১৯৪৭ সালের ১৮ মে মজলিসে-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের উদ্যোগে হায়দারাবাদে অনুষ্ঠিত উর্দু সম্মেলনে যুক্ত প্রদেশ মুসলিমলীগ নেতারা পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা উর্দু হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন। দেশ বিভাগত্তোর লীগ নেতৃবৃন্দের বিশেষ করে পাকিস্তানের প্রশাসনে উর্দুভাষী সরকারি চাকুরেদের মধ্যে এই বাস্তবরূপ পরিলক্ষিত হয়।
১. এ কারণে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার প্রাক্কালে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. জিয়াউদ্দিন আহম্মদ এক বিবৃতিতে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব দেন। ড. মুহাম্মদ শহিদুল­াহ ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা সমস্যা’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ দৈনিক আজাদ পত্রিকায় প্রকাশ করেন।  এ প্রবন্ধে তিনি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান। এই পটভূমিতে যারা বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার আন্দোলন সূচনা করেন, তাদের অনেক বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়। ভাষা আন্দোলন আনুষ্ঠানিক সূচনা পরে হলেও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আগে ভাষা আন্দোলন নিয়ে বহু সংগ্রাম করতে হয়েছে। প্রতিবাদ করতে হয়েছে। প্রচুর লেখালেখি করতে হয়েছে।
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে,বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য এই আন্দোলন প্রথম নয়। এই উপমহাদেশে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে। এম, কে গান্ধি (মোহন দাস করম চাঁদ গান্ধি) দেশ বিভাগের পূর্বে একবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গোটা ভারত বর্ষে একটি মাত্র জাতীয় ভাষা হবে। তা হবে হিন্দি। সে কথা ইতোপূর্বে উলে­খ করেছি। আজকের প্রজন্ম ভাষা আন্দোলন বলতে ১৯৫২ সালের পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা আন্দোলন কিংবা ১৯৬১ সালে আসামের শিলচরের ভাষা আন্দোলনকে বুঝে থাকেন। এ দু’টি ভাষা আন্দোলনের পূর্বে বৃটিশ আমলে ১৯২৭ সালে আসাম প্রদেশে সর্ব প্রথম একটি ভাষা আন্দোলন হয়েছিল। সাধারণ জনগণের সম্পৃক্ততা না থাকায় এই আন্দোলন তেমন একটা পরিচিতি লাভ করেননি। সিলেট তখন আসাম প্রদেশের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত ছিল। ১৯২৭ সালে সিলেটের আব্দুল হামিদ চৌধুরি ছিলেন আসাম পরিষদের সদস্য। তিনি প্রাদেশিক স্পীকারের কাছে বাংলায় একটি প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন। স্পীকার প্রত্যুত্তরে বলেছিলেন “বাংলা ভাষায় প্রশ্ন রাখলে তার উত্তর দেবার বিধান আইনে নেই”। 
পরিষদে তুমুল বিতর্ক হয়। সিলেটের সদস্যগণ দাবি করেন যে, প্রত্যেক সদস্যেরই মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আছে। এভাবে ১৯২৭ সালে আসাম পরিষদে বাংলা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এ অধিকার ১৯৪৭ সাল পর্যান্ত অক্ষুন্ন ছিল।
একথা বলতে পারি যে, বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় দ্বিতীয়বার বলির পাঠা হয় পাকিস্তানের নয়া গভর্নর জেনারেল জিন্নাহ সাহেবের হাতে। মিঃ জিন্নাহ বাঙালি ছিলেন না। ভিন্ন সংস্কৃতির লোক ছিলেন। বাংলা ভাষা নিয়ে তিনি সর্বপ্রথম হাটে হাঁড়ি ভেঙেছেন এ কথা সত্য। আর বাঙালিদের অনেকে বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে এই সুযোগ লুফে নিয়েছিলেন। এই ভূ-খন্ডে বাঙালিদের নিয়ে কম খেলা হয়নি। কম নাটক মঞ্চস্থ হয়নি। বাঙালিদের মধ্যে কেউ চেয়েছিলেন উর্দুর পরিবর্তে আরবী হবে বাঙালিদের জাতীয় ভাষা। আবার কেউ বাংলা ভাষাকে প্রথমে জাতীয় ভাষা হিসেবে মেনে নিতে পারেনি। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, কেউ প্রজাতন্ত্রের চাকুরি হারানোর ভয়ে শহিদের গায়েবী জানাযায় যেতে শংকাবোধ করেছিলেন। অথচ তারা ছিলেন প্রকৃত বাঙালি;জাতির গর্ব। ছিলেন পাকিস্তান বা অবিভক্ত বাংলার ডাক সাইডের নেতা। বাঙালি হয়ে বাঙালিদের বিরুদ্ধে আত্মঘাতি চক্রান্ত আর কী হতে পারে?
বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য সেদিন এদেশের দামাল ছেলেরা রক্ত দিয়েছিলেন। তাদের সেই ত্যাগ বা আদর্শকে আমরা কী ধারণ করতে পেরেছি? সমাজের সর্বস্তরে বাংলা ভাষার বিস্তৃতি কী ঘটেছে? কেন আমরা ইংরেজি প্রতিশব্দ ২১ ফেব্র“য়ারি আজও বলছি? কেন আমরা তখনকার বঙ্গাব্দ ১৩৫৮-এর ৮ ফাল্গুন না বলে আজও কেন ২১ ফেব্র“য়ারি বলছি? পাকিস্তান আমলে আমরা ১৯টি বছর একুশকে পেয়েছি। পাকিস্তান থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। এখন স্বাধীন দেশের নাগরিক। গতানুগতিক ধারায় মাতৃভাষা দিবস পালন করছি। কিন্তু ২১ ফেব্র“য়ারির পরিবর্তে কেন ৮ ফাল্গুন স্বীকৃতি পেল না? আজকে স্বাধীন দেশে বাংলা একাডেমি এ ব্যাপারে করছে কী? কেন বই মেলা ১লা ফেব্র“য়ারি থেকে শুরু না করে ৮ ফাল্গুন থেকে শুরু করা গেল না? আসলে ভাষা দিবস পালন করতে হয় তাই গতানুগতিকভাবে করছি। ঢোল-ঢাল পেটাচ্ছি। দুর্ভাগ্য আমরা বাংলা মাসের নাম অনেকে জানি না। ইংরেজী ক্যালেন্ডার অনুযায়ি আমরা চলছি।
সব কিছুকে ‘বাংলা’ করবার মানসিকতা হারিয়ে বাংলাদেশ এখন হয়ে উঠেছে‘কসমোপলিটন’ শব্দ মত। বাংলাকে ভুলে গিয়ে প্রাচ্য সভ্যতায় আমরা মেতে উঠেছি। এসব কী ভাষা শহিদদের আত্মার প্রতি অপমান নয় কী? আসলে চলছে শিকড়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন। আমরা বাঙালি। ভাষা আমাদের বাঙালা। এটা মায়ের মুখের ভাষা। একটি স্বাধীন স্বাতন্ত্রতাবোধ সম্পন্ন জাতির মাতৃভাষা। এই মাতৃভাষা বাংলার প্রতি শ্রদ্ধা বা সম্মান প্রদর্শন করা একজন সু-নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তৃব্য। মাতৃভাষাকে উপেক্ষা করে কোন দেশ-জাতি কখনও উন্নতির শিখরে পৌঁছেতে পারেনি। জ্ঞান অর্জন বা চর্চার মাধ্যম হলো ভাষা। বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতা আজকের স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়।কাজেই ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শিকড়ের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। শহিদদের আত্মার শান্তি পাবে। ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াই সার্থক হবে। 
লেখক: সিনিয়র আইনজীবী, কলামিষ্ট, সম্পাদক আজাদ বার্তা। 

্রিন্ট

আরও সংবদ

অন্যান্য

প্রায় ৩ মাস আগে