খুলনা | বুধবার | ০২ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯ চৈত্র ১৪৩১

রমজানের আগে বাজারের অস্থিরতা

|
১২:২৯ এ.এম | ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫


একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে আমাদের নিত্যপণ্যের বাজার অনেক ক্ষেত্রে ‘প্রতারণার বাণিজ্যালয়’ হয়ে উঠেছে। বিগত কয়েক যুগের মূল্য-পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এখনকার বাজারগুলো ক্রমশ সিন্ডিকেটের দখলে চলে গেছে। ফলে নিজেদের খেয়ালখুশি মতো পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে থাকে বিভিন্ন অসাধু চক্র। এছাড়া দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির উলে­খযোগ্য কারণ গ্রামগঞ্জের হাটবাজারের অব্যবস্থাপনা ও নীরব চাঁদাবাজি। উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ের হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির অবহেলা ও অনিয়মের কারণে ইজারাদাররা ইচ্ছামতো টোল বা খাজনা আদায় করছে। ফলে এর ক্ষতি পোষাইতে বিক্রেতারা দ্রব্যমূল্য বড়িয়ে দিচ্ছেন। এই বিষয়টিও সরকারকে আমলে নিতে হবে। 
বর্তমানে প্রতিদিনই হু হু করে মূল্য বাড়িছে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের। প্রতি বছরর মাহে রমজানের আগেভাগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কয়েক দফা বৃদ্ধি পায়। এ এক ধরনের অপকৌশল বইকি। কিন্তু যেই হারে বাড়ে, পরে সেই হারে কমতে দেখা যায় না। বিশেষ করে, এখনকার আলোচ্য বিষয় ভোজ্য তেল। ভোজ্য তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ দিশাহারা। বিভিন্ন বাজার ঘুরে এর দেখা কিংবা নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের ছলচাতুরীর চরম ভোগান্তি সৃষ্টি করেছে ভোক্তাদের জীবনে। 
অযাচিত মূল্যবৃদ্ধির কারণে ক্রেতারা যেমন ফুঁসিছে, তেমনি ত্যক্তবিরক্ত হয়ে উঠেছেন ক্ষুদ্র বা খুচরা ব্যবসায়ীগণও। 
খোদ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েরই দুই-দুইটি সংস্থার পর্যবেক্ষণমূলক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির এমন চিত্র। তারপরও তাদের যেন কিছুই করার নেই! ভোক্তাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ হইল, শুধু বাজার পরিদর্শনে গিয়ে ছোট ছোট ব্যবসায়ীকে জরিমানা করে দায় সেরে থাকে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
পবিত্র মাহে রমজান অত্যাসন্ন। যেইখানে অন্যান্য মুসলিম দেশে এই সময় বিভিন্ন পণ্যের মূল্য কমে, সেইখানে রমজানের আগে হইতেই দেশের বাজার প্রতি বৎসরই চরম অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে কেন? আমরা এই বছর এর ব্যত্যয় দেখতে চাই। পবিত্র এই মাস সামনে রেখে ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা, ডাল, খেজুর ও পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনশীল হয়ে উঠুক-এটাই সকলের কাম্য। 

্রিন্ট

আরও সংবদ