খুলনা | মঙ্গলবার | ১৮ মার্চ ২০২৫ | ৩ চৈত্র ১৪৩১

প্রধান উপদেষ্টা, তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুলের শোক

বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান আর নেই

খবর প্রতিবেদন |
০১:১১ এ.এম | ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫


বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আমরাতো আল্লাহর এবং আল্লাহর কাছেই ফিরে যাবো)। মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবীর খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন আবদুল্লাহ আল নোমান। দ্রুত রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি’র সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে থাকার কথা ছিল আবদুল্লাহ আল নোমানের। তবে তার মৃত্যুর পর এই সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।
১৯৭১ সালে নোমান মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধ শেষে ন্যাপের রাজনীতিতে তার পথ চলা। এরপর তিনি ১৯৮১ সালে বিএনপিতে যোগ দেন।
১৯৯১ ও ২০০১ সালে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নোমান। খালেদা জিয়ার দুই সরকারের আমলে মৎস্য ও পশু সম্পদ, শ্রম ও কর্মসংস্থান, বন ও পরিবেশ এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টার শোক : বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল­াহ আল নোমানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক শোক বার্তায় তা জানানো হয়।
এক শোক বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আবদুল­াহ আল নোমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন গুণী নেতা ছিলেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। ষাটের দশকের শুরু থেকে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন আবদুল্লাহ আল নোমান।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) সক্রিয় থেকে তিনি চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সাবেক এই মন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনৈতিক ঘরানার বাইরেও চট্টগ্রামে সব দলমতের মানুষের কাছে শ্রদ্ধার আসনে ছিলেন তিনি।
আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।
নয়াপল্টনে নোমানের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত : বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক মন্ত্রী ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আবদুল্লাহ আল নোমানের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার নয়াপল্টন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সংসদ ভবনে বিএনপি’র প্রয়াত নেতার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে বিএনপি’র পক্ষ থেকে দলীয় পতাকা ও ফুলের শ্রদ্ধা জানানো হয়।
জানাজার আগে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমানের বিশাল বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন নিয়ে স্মৃতি চারণ করেন। তার মতো অভিজ্ঞ রাজনৈতিক নেতার চলে যাওয়ার ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে শূন্যতার সৃষ্টি হবে বলেও মনে করেন তারা।
বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমানের চলে যাওয়া বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি করবে। তার মতো ত্যাগী ও প্রগতিশীল মানুষের যখন সবচেয়ে বেশি দরকার, তখন তার চলে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না। তার শূন্যতা সৃষ্টি হবে।
জানাজায় অংশ নেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।
এর আগে প্রথম জানাজার আগে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী জানান, বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জানাজা শেষে মরহুমের মরদেহ চট্টগ্রামে নেওয়া হবে। সেখানে আগামী শুক্রবার বাদজুমা শেষ জানাজা শেষে দাফন হবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ