খুলনা | বুধবার | ০২ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯ চৈত্র ১৪৩১

ইসরায়েলি দখলদারি নিয়ে ফিলিস্তিনি প্রামাণ্যচিত্র, জিতল অস্কারে সেরার পুরস্কার

খবর বিনোদন |
০২:১৪ পি.এম | ০৩ মার্চ ২০২৫


অস্কার জিতল ফিলিস্তিনি ডকুমেন্টারি! দ্য একাডেমি অ্যাওয়ার্ডের ৯৭তম আসরে বেস্ট ডকুমেন্টারি ফিচার ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে ফিলিস্তিনি প্রামাণ্যচিত্র ‘নো আদার ল্যান্ড’। আরও অবাক হওয়ার বিষয়, অস্কারজয়ী এই ডকুমেন্টারি নির্মাণে ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী ও চলচ্চিত্র নির্মাতাদের পাশাপাশি কাজ করেছেন বেশ কয়েকজন ইসরায়েলিও।

ফিলিস্তিনি এক অধিকারকর্মীর সঙ্গে ইসরায়েলের এক সাংবাদিকের বন্ধুত্বের গল্প ডকুমেন্টারির অন্যতম উপজীব্য। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চার বছর ধরে সংগ্রহ করা হয়েছে এই ডকুমেন্টারির তথ্য। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলদারি, সেনাবাহিনীর নির্যাতন, দখলদারদের অত্যাচার সবকিছু ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ডকুমেন্টারিটিতে।

ওই চার বছরে পশ্চিম তীরের মাসাফের ইয়াত্তা নামের একটি এলাকায় সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্দেশ্যে বাসিন্দাদের উৎখাত করছিল ইসরায়েলি সেনারা। গুঁড়িয়ে দিচ্ছিল স্থানীয় ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁদের সেসব কার্যক্রম ক্যামেরাবন্দী করতে একাই মাঠে নেমে পড়েছিলেন ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী বাসেল আদ্রা।

ছিল জীবনের ঝুঁকি, গ্রেপ্তার তো বটেই, যেকোনো সময় ইসরায়েলিদের গুলি বা বোমা হামলায় হারাতে হতে পারে প্রাণ। সেসময় আদ্রার জীবনে যেন দেবদূত হয়ে আসেন এক ইসরায়েলি সাংবাদিক। যার নাম ইয়ুভাল আব্রাহাম। ভয়ংকর ঝুঁকিপূর্ণ এই যাত্রায় তাঁকে পুরো সহায়তা করে দখলদার রাষ্ট্রের এই নাগরিক।

অস্কারের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে রীতিমতো তুলোধুনো করেন আব্রাহাম। বলেন, ‘ইসরায়েলি প্রশাসন গাজায় যা করেছে তা নির্মম ধ্বংসযজ্ঞ ছাড়া আর কিছু না। যুগের পর যুগ ধরে এটাই চলে আসছে। কিন্তু এবার তা বন্ধ হওয়া উচিত। ফিলিস্তিনে আগ্রাসন কখনো ইসরায়েলিদের জন্য ভালো কিছু ডেকে আনবে না। গাজার মানুষ নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকলেই নিশ্চিত হবে ইসরায়েলিদের নিরাপত্তা। প্রয়োজন একটি সঠিক রাজনৈতিক সমাধান, যেখানে জাতিগত আধিপত্য থাকবে না, ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি দুই জাতির জন্যই নিশ্চিত হবে জাতীয় অধিকার। কিন্তু সেই সমাধানের পথ আটকে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।’

অস্কারের মঞ্চে দাঁড়িয়ে আন্তর্জাতিক মহলকে গাজা ইস্যুতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান বাসেল আদ্রা। বলেন, ‘দুই মাস আগে আমি বাবা হয়েছি। আমি যে ভয়ংকর পরিবেশে বড় হয়েছি, চাই না আমার মেয়েও সেই ভয়ংকর যুদ্ধ–বিগ্রহের মধ্যে আতঙ্কের জীবনযাপন করুক। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটা সুস্থ–সুন্দর পরিবেশ আপনারা নিশ্চিত করুন।’

এর আগে বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড ও ডকুমেন্টারি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড জিতেছে ‘নো আদার ল্যান্ড’। নিউইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস সার্কেল অ্যাওয়ার্ডেও নন ফিকশন ফিল্ম ক্যাটাগরিতে জিতেছে সেরার পুরস্কার।

্রিন্ট

আরও সংবদ