খুলনা | শনিবার | ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২

আহলান ও সাহলান হে মাহে রমজান

রোজা শুদ্ধ হবে কিভাবে?

মুফতি রবিউল ইসলাম রাফে |
০১:৫২ এ.এম | ০৫ মার্চ ২০২৫


আজ ৪ রমজান। পবিত্র মাহে রমজানের রহমতের দশকের আজ চতুর্থ দিন। রমজান মাস আল­াহর কাছে আমল কবুলের মাস। কিন্তু শর্ত হলো আমলটি অবশ্যই সুন্দর হতে হবে। কোন জিনিষ গ্রহণযোগ্যতার পূর্বশর্ত হলো তা সুন্দর, ত্র“টিমুক্ত ও পরিপূর্ণ হওয়া। আমাদের রোজা যদি সহীহ ও সুন্দর না হয় তাহলে আল্লাহপাক তা গ্রহণ করবেন না এবং তার পরিপূর্ণ বদলা দেবেন না। হাদিসে আছে, অনেক রোজাদার এমন আছে যারা রোজার কষ্ট ছাড়া আর কিছুই পায় না, আর এমন রাত্রি জাগরণকারী আছে যারা রাত্রি জাগরণের  কষ্ট ছাড়া আর কিছুই পায় না (ইবনে মাজাহ, নাসাঈ, হাকিম)। কারণ তাদের  রোজা শুদ্ধ হয় না। এজন্য সর্বাত্মক চেষ্টা ও মেহনত করা  দরকার যাতে আমাদের রোজাগুলো সুন্দর হয়। ইতিপূর্বে এই কলামে রোজা নষ্ট হবার বাহ্যিক কারণ সমূহের উপর আলোকপাত করা হয়েছিল। আজ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আদব আলোচনা করা হচ্ছে যা মানুষের মন ও পঞ্চন্দ্রীয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। ওলামা ও মাশায়েখগণ কোরান হাদিসের আলোকে রোজা শুদ্ধ হওয়ার ছয়টি আদব বর্ণনা করেছেন। এক. দৃষ্টির হেফাজত করা। যেন কোন নাজায়েয জায়গায় দৃষ্টি না পড়ে। এমনকি  নিজ স্ত্রীর প্রতিও যেন কামভাব ও খাহেশাতের দৃষ্টি না পড়ে। বেগানা মহিলার তো প্রশ্নই উঠে না। দুই. জবানের হেফাজত করা। মিথ্যা, গীবত, শেকায়েত, চুগলখোরী, বেহুদা কথাবার্তা, ঠাট্টা-বিদ্রƒপ, ঝগড়া-বিবাদ ইত্যাদি সবকিছুই এর অন্তর্ভুক্ত। তিন. কানের হেফাজত। যে জিনিষ মুখে বলা নাজায়েয  তা শুনাও নাজায়েয। গান-বাজনা, আজেবাজে কথা শ্রবণ, গীবতে কান দেওয়া সবই এর অন্তর্গত। চার. শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রতঙ্গকে নাজায়েয কাজ থেকে হেফাজত করা। যেমন হাতকে নাজায়েয বস্তু ধরা হতে, পা কে নাজায়েয জায়গায় যাওয়া হতে, দেমাগকে অশ্লীল চিন্তা হতে, পেটকে হারাম মাল দ্বারা ইফতার করা থেকে বিরত রাখা  ইত্যাদি। পাঁচ. হালাল মাল দ্বারাও এত বেশী ইফতার না করা যাতে পেট একেবারে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। কেননা এতে রোজার উদ্দেশ্যই নষ্ট হয়ে যায়। ছয়. রোজা রাখার পরও মনে মনে এই ভয় রাখা যে, নাজানি আমার রোজা মহান আল্লাহর দরবারে কবুল হচ্ছে কিনা। 
লেখক: আরবী সাহিত্যিক ও মুহাদ্দিস, জামি’য়া ইসলামিয়া মারকাযুল উলূম, বাগমারা, খুলনা।

্রিন্ট