খুলনা | বুধবার | ১২ মার্চ ২০২৫ | ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

সিএমএইচে শিশুটির অবস্থা অপরিবর্তিত : আইএসপিআর

‘চোখের পাতা খুলেছে মাগুরার সেই শিশুটি’

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩৬ এ.এম | ১১ মার্চ ২০২৫


মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটি চোখের পাতা খুলেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। সোমবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন শিশুটি চোখের পাতা খুলেছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, সিএমএইচ চিকিৎসাধীন শিশুটি চোখের পাতা খুলেছে। চিকিৎসকরা আশা করছেন, আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।
আইএসপিআর : মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুটির অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) তার চিকিৎসা চলছে। রোববার দিবাগত মধ্যরাতে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক গণমাধ্যমে এক বার্তায় এই তথ্য জানান।
এদিকে গত রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শিশুটির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন পোস্টে বলা হয়, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় শিশুটির লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়েছে। শিশুটিকে এখন পিআইসিইউতে রাখা হয়েছে।
বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের এ শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন শিশুটির মা। চিকিৎসকেরা জানান, শিশুটির গলায় একটা দাগ আছে। মনে হচ্ছে, কিছু দিয়ে চেপে ধরা হয়েছিল। শরীরের বেশ কিছু জায়গায় আঁচড় আছে। তার যোনিপথে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
৬ মার্চ ঘটনার দিনই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শিশুটির মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুরকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। শিশুর বোনের শ্বশুরকে সাতদিন, স্বামী, শাশুড়ি ও ভাসুর প্রত্যেকের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন মাগুরার আদালত।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওইদিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢামেক হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

্রিন্ট

আরও সংবদ