খুলনা | রবিবার | ১০ অগাস্ট ২০২৫ | ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২

খুলনার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় শিশুর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০২:০৪ এ.এম | ১১ মার্চ ২০২৫


নয় মাস মাতৃগর্ভে রাখার পর শিশুর হাসিমুখ দেখা হলো না খুলনার বাগমারা চেয়ারম্যান বাড়ি মোড় এলাকার আয়শা বেগমের। মৃত শিশুর মুখ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। কখনো ভাবেননি নিজগর্ভে যাকে লালন করছেন তার মৃত্যু হবে জন্মের আগেই। খুলনার বাইতিপাড়া এলাকার মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে  রোববার রাত ৯টার দিকে নয় মাস পূর্ণ হওয়া আয়শা নামের এই গর্ভবতী নারী ভর্তি হন। সব কিছুই ঠিক ছিলো তখন। অপেক্ষা ছিলো স্বাভাবিক জন্মপ্রক্রিয়ার। তবে রাত বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছিলো প্রসব বেদনা। 
আয়েশা বেগম রাতের ঘটনা বর্ণনা দিতে গিয়ে সময়ের খবরকে বলেন, রাত তিনটার দিকে তার বেশ প্রসব বেদনা হতে থাকে। তখন সেখানে দায়িত্বরত সেবিকাদের ডাকা হয়। কিন্তু তারা ডেলিভারির জন্য স্যালাইন দিতে অপারগতা জানায়। ভোর ৫টার আগে স্যালাইন দেওয়া যাবে না বলে জাননো হয় আয়শাকে। তবে ভোর হতে হতে আস্তে আস্তে কমতে থাকে প্রসব ব্যথা। পরে বেদনা কমে যাওয়া দেখে তড়িঘড়ি করে সোমবার সকালেই নেওয়া হয় সিজারের ব্যবস্থা। সিজার শেষে মৃত বাচ্চাকে বের করে আনা হয় অপারেশন থিয়েটার থেকে। আয়শা বলেন, রাত ৩টার সময় যখন প্রসব বেদনা হচ্ছিলো তখন যদি চেষ্টা করা হতো তাহলে হয়তো তার বাচ্চাটি আজ জীবিত থাকতো। শুয়ে থাকতো তার কোলে। 
রোববার রাতে খুলনার বাইতিপাড়া এলাকার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে সেবিকার দায়িত্বে ছিলেন সুপ্রিয়া ও পরিদর্শিকা ছিলেন রাবেয়া নামের এক ব্যক্তি। মূলত তাদের অবহেলার বলি হলো আয়শার শিশুটি। সোমবার শিশুটি মারা যাওয়ার পর থেকে পাওয়া যায়নি এই ২ ব্যক্তির খোঁজ। স্বয়ং প্রতিষ্ঠানটির মেডিকেল অফিসারই কোনো ভাবে যোগাযোগ করতে পারেননি তাদের সাথে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান স্থানীয়রা। 
এদিকে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার শাহেলা আক্তার বলেন, গর্ভবতী মহিলা ভর্তি হওয়ার পর সব কিছু ঠিক ছিলো। আমি ঘটনাস্থলে রাতে না থাকলেও রাতভর খোঁজখবর নিয়েছি। তবে ভোরে প্রসাব বেদনা কমে যাওয়ার কথা শুনে আমি দ্রুত অপারেশনের ব্যবস্থা করি। কিন্তু অনেক চেষ্টা করার পরও বাচ্চাটার শ^াস ফেরানো সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় রাতে দায়িত্বরত ব্যক্তিদের সাথে এখনো সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি। 

্রিন্ট

আরও সংবদ