খুলনা | বুধবার | ১২ মার্চ ২০২৫ | ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

শিরোপা মঞ্চে নেই পাকিস্তানের কেউ, আইসিসির কাছে ব্যাখ্যা চায় পিসিবি

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
০৪:১৫ পি.এম | ১১ মার্চ ২০২৫


এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অনুষ্ঠিত হয়েছে হাইব্রিড মডেলে। তবে অফিশিয়াল আয়োজক ছিল পাকিস্তান। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনাল শেষে পদক ও ট্রফি বিতরণে উপস্থিত ছিলেন আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি এবং সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া। অথচ আয়োজক দেশ পাকিস্তানের কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না ট্রফি বিতরণী মঞ্চে, যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররা। এরপরই অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) একটা ব্যাখা দিয়ে থাকেন। পিসিবি পরে আইসিসির কাছে এমন সিদ্ধান্তের পিছনে যুক্তিও জানতে চায়।

যে কোনও আইসিসি ইভেন্টের ফাইনাল ম্যাচের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আয়োজক দেশের প্রতিনিধিকে থাকতে দেখা যায়। তবে এক্ষেত্রে পাকিস্তানের কেউ কেন ছিলেন না, তার প্রাথমিক কারণও জানা যায়। পিসিবি চেয়ারম‍্যান মহসিন নাকভির মূলত পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে থাকার কথা ছিল। তবে পিসিবি জানিয়েছে, তিনি অসুস্থ ছিলেন এবং দুবাই যেতে পারেননি। তারা আশা করেছিলেন, পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে থাকবেন সুমাইর।

এদিকে ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, সাইকিয়ার উপস্থিতিতে বিস্মিত পিসিবি। কারণ, যেভাবেই হোক বিসিসিআই প্রতিনিধি হিসেবে বিনি মঞ্চে ছিলেন। তবে স্বাগতিকদের কোনো প্রতিনিধি না রাখায় মূলত সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তারা আশা করেছিলেন, পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে থাকবেন সুমাইর।

এই ভাবনার কথা আইসিসিকে জানায়নি পিসিবি। তারা মনে করে, মঞ্চে নাকভির বিকল্প ঠিক করার দায়িত্ব ছিল আইসিসির। পাকিস্তানের প্রতিনিধি রাখার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন‍্য ফাইনালের কোনো পর্যায়ে তারা যোগাযোগ না করায় ক্ষুব্ধ পিসিবি।  পিসিবির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত আইসিসির কোনো ব‍্যাখ‍্যা তারা পাননি।

আইসিসি এক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। ইন্ডিয়া টুডেকে আইসিসির মুখপাত্র জানান, ‘মিস্টার নাকভিকে পাওয়া যায়নি, তিনি দুবাইয়ে উপস্থিত থাকতে পারেননি। নিয়ম অনুযায়ী বোর্ডের শীর্ষ কর্তারাই ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারেন। সেই কারণেই পাকিস্তানের কেউ ছিলেন না ট্রফি প্রেজেন্টেশনের সময়।’

অর্থাৎ, আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী কোনও বোর্ডের প্রেসিডেন্ট, চেয়ারম্যান, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি, সিইওরা হাজির থাকতে পারেন ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে। বোর্ডের অন্যান্য কর্তারা মাঠে উপস্থিত থাকলেও তাঁদের মঞ্চে ডাকা হয় না। এক্ষেত্রে দুবাইয়ে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সিইও সমীর আহমেদ সৈয়দ। তাকে কেন নাকভির অনুপস্থিতিতে মঞ্চে ডাকা হয়নি, সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও জবাব মেলেনি।

্রিন্ট

আরও সংবদ