খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১১ বৈশাখ ১৪৩২

জামায়াতে ইসলামীর ৫ বিষয়ের ওপর সংস্কার প্রস্তাব, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনে গুরুত্বারোপ

খবর প্রতিবেদন |
০১:২২ এ.এম | ২১ মার্চ ২০২৫


জামায়াতে ইসলামীর ৫ বিষয়ের ওপর সংস্কার প্রস্তাব জমাজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের কাছে সংস্কার প্রস্তাব জমা দেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।
সংবিধান, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কার সুপারিশের ওপর লিখিত মতামত দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনে অবস্থিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের কাছে এসব সুপারিশমালা জমা দেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।
এ সময় অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের সঙ্গে ছিলেন সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এড. মতিউর রহমান আকন্দ।  
অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের কাছে জামায়াত নেতারা সংবিধান, নির্বাচন, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশনসহ পাঁচটি বিষয়ের ওপর প্রস্তাবনা পেশ করেন।  
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে আসছে। আমিরে জামায়াতসহ নেতারা প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে দ্রুত একটি অর্থবহ নির্বাচন দেওয়ার জন্য বারবার বলে আসছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়ের ব্যাপারে একটি ধারণা জাতির সামনে পেশ করা হয়েছে। আমরা তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করিনি। আজ (বৃহস্পতিবার) আমরা পাঁচটি বিষয়ের ওপর আমাদের মতামত তুলে ধরেছি। কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা একমত হতে পারিনি, আবার অনেক বিষয়েই একমত হয়েছি। আমরা ব্যাখ্যাসহ আমাদের বক্তব্য তুলে ধরেছি। আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছি। আমরা আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যেই সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অর্থবহ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কাজ শুরু করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চায়, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, সে জন্য সরকারের সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করছি। নির্বাচন নিরপেক্ষ করে একটা সুন্দর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রের সাংবিধানিক কাঠামোতে যে ভারসাম্যহীনতা সেগুলো ফিরিয়ে এনে সমন্বিত করতে ভালো কিছু পরামর্শ দিয়েছি।
গণপরিষদ নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রস্তাব দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আস্থাভোট, বাজেট এ সম্পর্কে আমরা ৭০ ধারা অনুযায়ী পার্লামেন্ট মেম্বাররা ভূমিকা পালন করবেন কীভাবে সে ব্যাপারে আমরা বলেছি। কমনলি আমরা মেনে নিইনি, প্রভাইডলি আমরা কিছু শর্ত দিয়েছি।
গণপরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণপরিষদের ব্যাপারে তো দু-তিন রকম মতামত আছে। গণপরিষদ প্রয়োজন হয় একটা দেশে নতুন সংবিধানের প্রয়োজন হলে, একটা কনস্টিটিউশন কাউন্সিল গঠন করা হয়। সেই কাজটা পার্লামেন্টেও হতে পারে প্রয়োজনে গণপরিষদেও হতে পারে। সবটার সুযোগ সেখানে আছে। আমরা সবটা একত্রিত করে আমরা মনে করেছি যে, এখন তো একটা পার্লামেন্টবিদ বিদ্যমান আছে। একেকটা দল নতুন গঠিত হলে তাদের কর্মপন্থা, কর্মসূচি, পলিসি থাকতেই পারে এটা দোষণীয় কিছু নয়। সে ব্যাপারে আমরা আমাদের কিছু মতামত দিয়েছি। গণভোটের ব্যাপারে আমাদের মতামত দিয়েছি। এভাবে সংস্কার কার্যক্রমটা হওয়া দরকার আরকি।
আপনারা কি জাতীয় নির্বাচনের আগে গণপরিষদ নির্বাচন চান এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘না, আমরা সেভাবে বলিনি।’
সংবিধানের মূলনীতিতে যে ধর্মনিরপেক্ষতা রয়েছে সে বিষয়ে জামায়াতের প্রস্তাবনা নিয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমরা বলেছি যে ধর্মনিরপেক্ষতার যে ব্যাখ্যা ও ব্যবহার এটা আমরা পছন্দ করি না।

্রিন্ট

আরও সংবদ