খুলনা | শুক্রবার | ০৯ মে ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

এলাকায় প্রবেশ নিয়ে আ.লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষ, নিহত ২

খবর প্রতিবেদন |
০২:৫৫ পি.এম | ২১ মার্চ ২০২৫


নরসিংদীর রায়পুরার দুর্গম চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় একজন গুলিবিদ্ধসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০ জন।

শুক্রবার (২১ মার্চ) ভোরে রায়পুরা উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের মোহিনীপুর গ্রামে সংঘর্ষে জড়ায় দল দুটির সমর্থকরা।

নিহতরা হলেন- চাঁনপুর ইউনিয়নের মোহিনীপুর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে আমিন মিয়া এবং একই গ্রামের বারেক হাজীর ছেলে বাশার।

সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রায়পুর থানার ওসি আদিল মাহমুদ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চাঁনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি সামসু মিয়ার অনুসারীদের সঙ্গে একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুস সালামের অনুসারীদের বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জেরে তাদের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। সর্বশেষ গত ৫ মার্চ সামসু মিয়ার লোকজন হামলা চালিয়ে গ্রামে উঠলে তাদের সামনে টিকতে না পেরে গ্রামের বাইরে অবস্থান নেন আবদুস সালাম গ্রুপের লোকজন। পরে আজ ভোরে আবদুস সালাম গ্রুপের লোকজন গ্রামে ওঠার চেষ্টা করলে বাঁধা দেন সামসু মেম্বারের লোকজন। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আবদুস সালাম গ্রুপের দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহত হন উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন।

দুইজনের প্রণহানির ঘটনায় পুরো গ্রামজুড়ে আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে রায়পুরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।

এর আগে, গত ৫ আগস্টের আগে সামসু মেম্বার ও তার লোকজন সালাম গ্রুপের সামনে টিকতে না পেরে প্রায় দুই বছর এলাকার বাইরে ছিলেন। সংঘর্ষের পর মোহিনীপুর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

নিহত আমিন মিয়ার বাবা খোরশেদ মিয়া বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর থেকে আমরা বাড়ি ছাড়া। আজ ভোরে ঈদ করতে গ্রামে ওঠার চেষ্টা করলে সামসু মেম্বারের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে। আমার ছেলের পায়ে গুলি করে মাটিতে ফেলে তারপর গলা চেপে তাকে হত্যা করা হয়।’

আব্দুস সালাম বলেন, গত ছয় মাস ধরে প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে আমার অনুসারীরা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করছিলেন। আজ যখন তারা বাড়িতে ফিরছিলেন, তখন সামসু মেম্বারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালাযন। এতে আমার পক্ষের দুইজন নিহত হয়েছেন।

সামসু মেম্বার বলেন, আমাদের গ্রুপের তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ