খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১০ বৈশাখ ১৪৩২

আ’লীগ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে নিন্দা এনসিপি’র

খবর প্রতিবেদন |
০১:৫১ এ.এম | ২২ মার্চ ২০২৫


আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শুক্রবার রাত আটটায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে এনসিপির আহবায়ক মোঃ নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেছেন। রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন টাওয়ারে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই বলে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্র“পের প্রতিনিধিদলকে জানান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন নাহিদ ইসলাম। তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের সাত মাস অতিবাহিত হলেও গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের খুনিদের বিচারে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। স¤প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক কমিশনের প্রতিবেদনে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, জুলাই মাসে বাংলাদেশে সংঘটিত অপরাধ আন্তর্জাতিক অপরাধের শামিল। আওয়ামী লীগের মানবতাবিরোধী অপরাধের ব্যাপারে এত সুস্পষ্ট আন্তর্জাতিক বক্তব্য থাকার পরও বিচারিক প্রক্রিয়ার ধীরগতি অত্যন্ত নিন্দনীয়। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অবিলম্বে জুলাই গণহত্যাসহ বিগত ফ্যাসিবাদী রেজিমে (শাসনামলে) সংঘটিত গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের বিচারে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চায়।
লিখিত বক্তব্যে নাহিদ ইসলাম উল্লেখ করেন, ‘স¤প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মন্তব্য করেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। আমরা তাঁর এ বক্তব্যের নিন্দা জানাই।’
কৃত অপরাধের বিচার, দায় স্বীকার, অনুশোচনা, পাপমোচন ব্যতীত আওয়ামী লীগের দল হিসেবে ক্রিয়াশীল থাকার পক্ষে যেকোনো ধরনের তৎপরতা ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের শামিল বলে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়। এতে আরও বলা হয়, এনসিপি জুলাই গণহত্যাসহ বিগত ফ্যাসিবাদী রেজিমে সংঘটিত অপরাপর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নিশ্চয়তা চায়। বিচার চলাকালে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে এবং এই মাফিয়াগোষ্ঠীর রাজনীতিতে ফেরার যেকোনো প্রচেষ্টাকে এনসিপি প্রতিহত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে।
এনসিপির আহবায়ক লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, ‘সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ কোনো গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক দল নয়; বরং এটি একটি ফ্যাসিবাদী দল। নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পরাজয় ঘটেনি। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী রেজিম বাংলাদেশ থেকে উৎখাত হয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগ এ মুহূর্তে গণতান্ত্রিক ফ্রেমওয়ার্কের বাইরে অবস্থান করছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ