খুলনা | সোমবার | ৩১ মার্চ ২০২৫ | ১৭ চৈত্র ১৪৩১

ইফতারির মুহূর্তে দোয়া কবুল হয়

মুফতি রবিউল ইসলাম রাফে |
০২:২০ এ.এম | ২৫ মার্চ ২০২৫


আজ ২৪ রমজান। নাজাতের দশকের আজ চতুর্থ দিন। রহমত ও মাগফিরাতের দশক শেষে আমরা উপনিত হয়েছি নাজাতের দশকে। দেখতে দেখতে প্রায় শেষ হয়ে এল অশেষ কল্যাণ ও নেকীর এই মাস। রমজানের শেষ দশকে জাহান্নাম থেকে বেশী সংখ্যক কয়েদীকে মুক্তি দেয়া হয়। তাছাড়া তাদের গোনাহও মাফ করে দেয়া হয় যারা কষ্ট করে সারাটি মাস রোজা পালন করে। এ কারণে এই দশককে নাজাতের দশক হিসেবে অবিহিত করা হয়। এক হাদিসে প্রিয় নবী এরশাদ করেন, রমজানের প্রতি দিবা-রাতে জাহান্নামের কয়েদীদেরকে মুক্তি দেয়া হয় এবং প্রতি দিবা-রাতে মুসলমানের একটি দোয়া অবশ্যই কবুল করা হয় (তারগীব)। এ কারণে আমাদেরও বেশী বেশী দোয়া করা দরকার যাতে আল্লাহ তায়ালা মেহেরবানি করে আমাদেরকে দোজখের শাস্তি থেকে নাজাত দান করেন। হাদিসে এই মাসে চারটি কাজ বেশী বেশী করার কথা বলা হয়েছে। তা হলো কলেমা শরীফ পড়া, এস্তেগফার, জান্নাত প্রাপ্তির জন্য দোয়া এবং জাহান্নাম থেকে নাজাতের দোয়া। পুণ্যময় মাসে আল্লাহপাক বান্দাদের মাফ করে থাকেন এবং দোয়া কবুল করেন। রমজানে এই দোয়া আমরা বেশি বেশি করতে পারি; লা ইলাহা ইল্লাল্লহ, আসতাগফিরুল্লাহ, নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া না’উযুবিকা মিনান্নার। অর্থাৎ, আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বুদ নাই। হে আল্লাহ, আপনার কাছে আমরা মাগফিরাত ও জান্নাত চাচ্ছি এবং জাহান্নামের আগুন থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আরও একটি দোয়ার কথা হাদিসে এসেছে। তা হল, ইয়া ওয়াছি’আল ফাদলি, ইগফিরলী। অর্থ, হে প্রশস্ত রহমতের মালিক, আমাকে মাফ করে দাও। রমজান মাসে সব সময়ই দোয়া কবুল হয়, তবে দোয়া কবুলের  সবচেয়ে উপযুক্ত সময় ইফতারির ঠিক আগ মুহূর্ত । রমজান মাস দোয়া কবুলের মাস। তাই আসুন, নাজাতের এই দশকে আমরা সবাই মিলে মহান আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে মাফ চায় যাতে তিনি আমাদের সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। 
লেখক: আরবী সাহিত্যিক ও মুহাদ্দিস, জামি’য়া ইসলামিয়া মারকাযুল উলূম, বাগমারা, খুলনা।

্রিন্ট