খুলনা | বুধবার | ০২ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯ চৈত্র ১৪৩১

চাঁনখারপুলে গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এসেছে

ট্রাইব্যুনালের তথ্য ফাঁস : কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি চিফ প্রসিকিউটরের

খবর প্রতিবেদন |
০১:৪৫ এ.এম | ২৮ মার্চ ২০২৫


আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বলেছেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর তথ্য ফাঁস হওয়ার কারণে অনেক আসামি পালিয়ে যাচ্ছেন। এ তথ্য ফাঁসের সঙ্গে ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা প্রসিকিউশন সংস্থার কেউ জড়িত থাকতে পারেন। আমরা প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করছি। তথ্য ফাঁসের সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর এসব কথা বলেন।
এ সময় তদন্তে যার নাম আসবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হুঁশিয়ারি দেন তিনি। জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ঈদের পর দাখিল হবে বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর।
চাঁনখারপুলে গণহত্যা মামলার তদন্ত  : গত ৫ আগস্ট রাজধানীর চাঁনখারপুলে পাঁচ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদনের খসড়া প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে। এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ঈদের পর ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে।
এর আগে গত ২ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর চাঁনখারপুলে গণহত্যা ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের গুলিতে দশম শ্রেণির ছাত্র আনাস হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনের নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করা হয়। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বরাবর এ অভিযোগ দাখিল করেন নিহতের নানা।
সেদিন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট গেন্ডারিয়ার বাসা থেকে গোপনে বেরিয়ে চাঁনখারপুলে আন্দোলনে যোগ দেয় দশম শ্রেণির ছাত্র আনাস। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় সে। আমরা কিছু ভিডিও পেয়েছি, কীভাবে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সেখানে অলিতে গলিতে ঢুকে গুলি করেছে।  
তিনি বলেন, আনাস বাসা থেকে গোপনে বের হওয়ার সময় তার স্কুলের খাতায় বাবা-মায়ের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখে আসে।
চিঠিতে সে বলে, ‘আমি যদি বেঁচে না ফিরি, তবে গর্বিত হইয়ো। জীবনে প্রতিটি ভুলের জন্য ক্ষমা চাই।’ এ ঘটনায় তার বাবা পলাশ প্রধানমন্ত্রীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছেন। এই মামলায় পুলিশের কনস্টেবল সুজন গ্রেফতার রয়েছেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ