খুলনা | সোমবার | ৩১ মার্চ ২০২৫ | ১৭ চৈত্র ১৪৩১

খুলনায় গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত

তথ্য বিবরণী |
০১:৫৩ এ.এম | ২৮ মার্চ ২০২৫


মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে গত বুধবার খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচির সূচনা করা হয়।  
দিবসটি উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে গল্ল¬ামারী শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। প্রত্যুষে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের শুভ সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা দ্বারা সজ্জিত করা হয়।  
গল্লামারী শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর ও জেলা ইউনিট, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার, পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক, কেএমপি কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার, কেসিসি’র প্রশাসক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদের প্রশাসক, কেডিএ, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রশাসন, আইনজীবী সমিতি, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধিরা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী সংগঠন এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।  
সকাল নয়টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার। পরে একই স্থানে পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, কারারক্ষী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিভাগীয় কমিশনার প্রধান অতিথি হিসেবে কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন। পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক, কেএমপি কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 
খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক, কেএমপি কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার, পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন, যুদ্ধকালীন কমান্ডার স ম বাবর আলী, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর ইউনিটের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও জেলা ইউনিটের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবু জাফর। 
দিবসটি উপলক্ষে সিনেমা হলসমূহে ও উন্মুক্তস্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন/প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কল্যাণ কেন্দ্র, শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র, শিশু পরিবার ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদযোহর বা সুবিধাজনক সময়ে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। ঐদিন দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ রকেট ঘাটে নৌ-বাহিনীর জাহাজ জনসাধারণের দর্শনের জন্য উম্মুক্ত রাখা হয়। 
গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি ভবন ও স্থাপনাসমূহে আলোজসজ্জা করা হয়। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া (টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, ফুটবল ম্যাচ ও কাবাডি) প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। খুলনার সকল পার্ক ও বিভাগীয় জাদুঘর শিশুদের জন্য বিনা টিকিটে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উন্মুক্ত রাখা হয়। দিবসটি উপলক্ষে খুলনা বেতার বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। এছাড়াও দিবসটি উদযাপনে উপলক্ষে রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে।
এ দিকে খুলনায় গত বুধবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনে করা হয়। দিবসটি উপরক্ষে শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও দিবসের তাৎপর্য তুলে বিশেষ আলোচনা করা হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের প্রেরিত রিপোর্ট।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়: দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৮টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী ও বিভিন্ন স্কুলের ডিনবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে ক্যাম্পাস থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়ে গল্লামারী বধ্যভ‚মিতে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট, পরিচালকসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বেলা ১১টায় চারুকলা স্কুলের আঙিনায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় ৪টি বিভাগে খুলনার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৯১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। দুপুর ২টায় প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম। দিবস উদযাপনে কমিটির সভাপতি এবং বিজ্ঞান, প্রকৌশল, ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আশরাফুল আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমান। স্বাগত বক্তৃতা করেন দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত। পরে প্রধান অতিথি বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র এবং অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের সনদপত্র বিতরণ করেন। এর আগে প্রতিযোগিতা শুরুর প্রাক্কালে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য প্রতিযোগিতার স্থান পরিদর্শন করে প্রতিযোগিতা প্রত্যক্ষ করেন। 
দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে অদম্য বাংলার সম্মুখে দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বাদ মাগরিব বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল ও সকাল ৯টায় মন্দিরে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) : দিবসটি উদযাপনে২৬ মার্চ বেলা ১১টায় ক্যাম্পাসস্থ মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য “দুর্বার বাংলা” এর পাদদেশে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বীর শহিদদের প্রতি অনুষদের ডিনবৃন্দ, পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ও সিনিয়র শিক্ষকগণকে সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও প্রোÑভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ শরীফুল আলম। অতঃপর, শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মকর্তা সমিতি (আপগ্রেডেশন), ফজলুল হক হল, লালন শাহ্্ হল, খানজাহান আলী হল, ড. এম এ রশীদ হল, রোকেয়া হল, অমর একুশে হল, শহিদ স্মৃতি হল, কর্মচারী সমিতি ও মাস্টাররোল কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এদিকে বেলা সাড়ে ১১টায় অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ভাইস-চ্যান্সেলর (রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ শরীফুল আলম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সায়েন্স এন্ড হিউম্যানেটিস অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন প্রফেসর ড. এম এম তৌহিদ হোসেন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সাবেক ডিন ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ সাহিদুল ইসলাম, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম এ হাসেম। 
ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) ড. মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন পরিচালক (আইআইসিটি) ও ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রকি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আশরাফুল গণি ভূঁইয়া, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুব আলম, ইলেকট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম আওলাদ হোসেন, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ মঈনুল হক, কর্মকর্তা সমিতির (আপগ্রেডেশন) সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব।
এছাড়াও, বুধবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ১০টায় শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বেলা সাড়ে ১১টায় পুরস্কার বিতরণ এবং যোহর বাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়।
নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি : দিবস উদযাপনে ২ দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন-১ ও ভবন-২ এ আলোকসজ্জা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বুধবার সকালে গল্লামারী স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন হিসেবে পুস্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির ডীন (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ  ইনজামাম-উল-হোসেন, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেন, প্রক্টর শাকীল আহমদ, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, সহকারি প্রক্টরবৃন্দ, প্রকল্প পরচালক মোঃ রেজাউল আলম, সহকারী রেজিস্ট্রার মিনা অছিকুর রহমান দোলন, শিক্ষকমন্ডলী, বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। 
খুলনা সিটি কর্পোরেশন : দিবস উপলক্ষে বুধবার সকালে নগরভবনে সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কেসিসি’র প্রশাসক মোঃ ফিরোজ সরকার। কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কেসিসি’র সচিব শরীফ আসিফ রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা, প্রধান প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মশিউজ্জামান খান, রাজস্ব কর্মকর্তা এসকেএম তাছাদুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আযম খান সরকারি কমার্স কলেজ : দিবস উদযাপনে দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল কলেজ শহিদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আলোচনা অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণী সভা, আলোক সজ্জাকরণ ও দোয়া মাহফিল। এতে সভাপতির বক্তৃতা করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ লুৎফর রহমান প্রধান। আরও বক্তৃতা করেন শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক প্রফেসর শেখ রেজাউল করিম, অনুষ্ঠানের আহŸায়ক ও বাংলা বিভাগের প্রধান এ,বি,এম হাসানুজ্জামান, প্রফেসর মোহাম্মদ আবুল ফজল, প্রফেসর সাইফুল ইসলাম, প্রফেসর কল্লোল কুমার রক্ষিত, সহযোগী অধ্যাপক তারক চাঁদ ঢালী, সহযোগী অধ্যাপক পরিতোষ কুমার হোড়, প্রভাষক মোঃ আবু রায়হান, ছাত্র প্রতিনিধি নাজিম উদ্দিন শামীম ভূঁইয়া ও মোঃ আমিনুজ্জামান সুজন। 
সরকারি খুলনা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিটিউট : দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিলো আলোচনা সভা, শিক্ষার্থীদের বক্তব্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ কাজী নেয়ামুল শাহীন। উপাধ্যক্ষ মোঃ মাইনুল আহসানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ইলেকট্রনিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও চিফ ইন্সট্রাক্টর পলি রানী দাস, নন টেকনোলোজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও চিফ ইন্সট্রাক্টর রেজাউল হক ও মোঃ আমিনুল ইসলাম, নিমাই চন্দ্র সরদার,কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ইন্সট্রাক্টর গৌতম কুমার ধর,ও আর্কিটেকচার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও চিফ ইন্সট্রাক্টর মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিভিল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ইন্সট্রাক্টর মৌসুমি আক্তার।
খুলনা প্রেসক্লাব :  দিবস উপলক্ষে বুধবার সকালে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা প্রেসক্লাবের আহবায়ক এনামুল হক। সভা পরিচালনা করেন ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য কৌশিক দে। বক্তৃতা করেন ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য আশরাফুল ইসলাম নূর, ক্লাব সদস্য এইচ এম আলাউদ্দিন, মোস্তফা জামাল পপলু ও আব্দুর রাজ্জাক রানা, ক্লাবের অস্থায়ী সদস্য মহেন্দ্রনাথ সেন প্রমুখ। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ক্লাব সদস্য শেখ লিয়াকত হোসেন ও একরামুল হোসেন লিপু, ক্লাবের অস্থায়ী সদস্য মোঃ হাসানুর রহমান তানজিরসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।  
এর আগে স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে ক্লাবের নেতৃবৃন্দ গল্লামারী শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রেসক্লাবের আহবায়ক এনামুল হক, কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান মিলটন ও আশরাফুল ইসলাম নূর, ক্লাব সদস্য মোস্তফা জামাল পপলু, দেবব্রত রায়, এস এম ইয়াসীন আরাফাত রুমী, মোঃ রকিবুল ইসলাম মতি, রিংটন মন্ডল, ক্লাবের অস্থায়ী সদস্য মহেন্দ্রনাথ সেন, তুফান গাইন ও শাহানা পারভীন শিল্পীসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।  
খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন : দিবস উপলক্ষে কার্যালয়ে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দেবব্রত রায়। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্রনাথ সেন। বক্তৃতা করেন কৌশিক দে বাপী, মোস্তফা জামাল পপলু, মিলন হোসেন, দপ্তর সম্পাদক সাগর সরকার, শেখ লিয়াকত হোসেন ও একরামুল হোসেন লিপু প্রমুখ।
এর আগে স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ গল্লামারী শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 
বাংলাদেশ খেলাফত শ্রমিক মজলিস : দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ খেলাফত শ্রমিক মজলিস খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। খেলাফত শ্রমিক মজলিস নগর আহŸায়ক মাওলানা তালুকদার আবু মুসার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব হাফেজ মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ’র সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আহŸায়ক মাওলানা আব্দুল্লাহ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সদস্য সচিব মোঃ আবুল কাশেম। এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন মোঃ শাহেদুজ্জামান, মাওলানা রোকনুজ্জামান, মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ, মোঃ শরিফুল, মোঃ জুয়েল, মোঃ আবু মুসা, মোঃ আহাদ আলী প্রমুখ। সভা শেষে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
ইসলামী যুব আন্দোলন : দিবস উপলক্ষে গত বুধবার বিকেল ৪টায় হোটেল গ্র্যান্ড দরবারে সংগঠনের মহানগরের সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল সবুরের সঞ্চালনায় স্বাধীনতা দিবসের শীর্ষক আলোচনা সভা এবং দোয়  অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুহাঃ আমজাদ হোসে, মুহাঃ মোমিন ইসলাম নাসিব, মুহাঃ নাজমুল ইসলাম, হাফেজ মাওঃ শামীম হোসেন সাইফী, মুহাঃ মামুন অর রশিদ, মুফতি মাহমুদুল হাসান, মুহাঃ মাইনুল ইসলাম আকন্দ, হাফেজ মুহাঃ হাসান, ডা: শামীম হায়দার, মুফতি ফরিদ উদ্দিন আযহার, মুহাঃ শাহিন হাওলাদার, মুহাঃ নাজিম হাওলাদার নাইম, মুহাঃ ইঞ্জিঃ হায়দার আলী, মুহাঃ সোলায়মান ইমন, মুহাঃ শিমুল বেপারী, মুহাঃ জাহাঙ্গীর আলম, শেখ মুহাঃ নাজমুল হুদা, মুহাঃ হাসান প্রমুখ।
খুলনা আর্ট একাডেমি : দিবস উপলক্ষে বুধবার সকাল ১০টায় খুলনা মিউজিক ক্লাবের আয়োজনে শিশুদের নিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক দিলীপ কুমার বর্মন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট কবি  ও নজরুল গবেষক সৈয়দ আলী হাকিম। মিউজিক ক্লাবের সভাপতি তৌহিদুর রসুল (শিমুল), সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বাবু শংকর ঘোষ, পুষ্প রানী বিশ্বাস, রাম প্রসাদ রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

্রিন্ট

আরও সংবদ