খুলনা | সোমবার | ৩১ মার্চ ২০২৫ | ১৭ চৈত্র ১৪৩১

৭ জন হাসপাতালে ভর্তি

কালীগঞ্জে দু’পরিবারের সকলকে অচেতন করে ২০ লাখ টাকার মালামাল চুরি

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি |
১২:১৮ এ.এম | ২৯ মার্চ ২০২৫


ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে দুর্বৃত্তরা গভীর রাতে জানালা কেটে ঘরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত অবস্থায় দুই পরিবারের সদস্যদের চেতনানাশক ¯েপ্র দিয়ে অজ্ঞান করে ১৩ ভরি ন্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও আসবাবপত্রসহ প্রায় বিশ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। চোরদের ব্যবহৃত চেতনানাশকে দু’পরিবারের মহিলাসহ অসুস্থ ৭ জনকে শুক্রবার সকালে মুমূর্ষু অবস্থায় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 
আহতরা হলেন, উপজেলার কোলা ইউনিয়নের বিনোদপুর গ্রামের অসিম ভদ্র, তার মাতা লক্ষী ভদ্র, স্ত্রী সঞ্চিতা ভদ্র ও কন্যা স্মিতা ভদ্র। অপর পরিবারের অরুপ ভদ্র তার স্ত্রী বিউটি ভদ্র ও বোন পূর্ণিমা ভদ্র। চিকিৎসকরা বলছেন তাদের চিকিৎসা চলছে, সবাই এখন আশঙ্কামুক্ত। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার কোলা ইউনিয়নের বিনোদপুর গ্রামে ওই দুঃসাহসিক চুরির ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। 
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তিথি রানী ভদ্র জানান, প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে অসিম ভদ্র ও  অরুপ ভদ্রের পরিবার ঘুমিয়ে পড়েন। দিবাগত গভীর রাতে চোরেরা জানালা কেটে ঘরে প্রবেশ করে এবং দু’টি পরিবারের সকল সদস্যদের ঘুমন্ত অবস্থায় জানালা দিয়ে চেতনানাশক ¯েপ্রর মাধ্যমে অজ্ঞান করে। এরপর চোরেরা অসিম ভদ্রের আলমারী ভেঙ্গে ৮ ভরি সোনা, নগদ টাকা ও মূল্যবান আববাবপত্র এবং অরুপ ভদ্রের বাড়ি থেকে ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও আসবাব চুরি করে। সবমিলিয়ে সংঘবদ্ধ চোরেরা দু’টি বাড়ি থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। এদিকে শুক্রবার সকাল পেরিয়ে গেলেও কাউকে না দেখে প্রতিবেশিদের সন্দেহ হয়। তারা ওই বাড়ীতে এসে তাদের ডাকলেও কেউ কোন সাড়া দেয়নি। এরপর প্রতিবেশিরা ঘরের মধ্যে গিয়ে দেখে সবাই অচেতন অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে। আলমারী খোলা, জিনিসপত্র এলোমেলা এবং জানালা কাটা। এ সময় প্রতিবেশিরা অচেতন অবস্থায় ৭ জনকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। 
উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাঃ মুনমুন জানান, বেলা ১১টার দিকে ৭ জনকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাদের চিকিৎসা চলছে। অনুমান করা হচ্ছে চেতনানাশক ওষুধ ¯েপ্র করে তাদেরকে অজ্ঞান করা হয়েছিল। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ রেজাউল ইসলাম জানান, চিকিৎসার পর এখন সবাই সুস্থ। শঙ্কা কেটে গেছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, চুরির ঘটনা শুনে সেখানে গিয়েছিলাম। তবে এখনো পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। পুলিশ চুরির মালামাল উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।

্রিন্ট

আরও সংবদ