খুলনা | বুধবার | ০২ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯ চৈত্র ১৪৩১

আহতের ৩,৪০৮ ও এখনো নিখোঁজ ১৩৯ জন

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ছাড়ালো ১৬০০

খবর প্রতিবেদন |
০১:৪৬ এ.এম | ৩০ মার্চ ২০২৫


মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ছাড়ালো ১ হাজার ৬০০। শনিবার মিয়ানমারের সামরিক জান্তা জানায়, দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৬৪৪ জনে পৌঁছেছে। আহতের সংখ্যা বেড়ে ৩,৪০৮ হয়েছে এবং ১৩৯ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আট দেশে শুক্রবার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ব্যাপক এই ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে মিয়ানমারের প্রতিবেশী থাইল্যান্ড, দক্ষিণ-পশ্চিম চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া ও বাংলাদেশেও।  এই ৭ দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে থাইল্যান্ডের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে শনিবার দুপুরেই। ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর আগে প্রাথমিক খবরে দেশটিতে প্রায় ১ হাজার জন মারা গেছেন বলে জানানো হয়েছিল।
মিয়ানমার ছাড়াও প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে মারা গেছেন অন্তত ১০ জন। দেশ দু’টিতে হতাহত ব্যক্তিদের প্রকৃত সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ, বিশেষত মিয়ানমার থেকে তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার জানা যায়নি। কেননা, মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ চলছে ও সেখান থেকে তথ্য পাওয়া কঠিন।
দেশটিতে ইতোমধ্যে পৌঁছেছে চীন ও রাশিয়ার উদ্ধারকারী দল। শনিবার আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, চীনের ৩৭ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল ইয়াঙ্গুনে পৌঁছেছে। তাদের সাথে রয়েছে ওষুধসহ অন্যান্য উপকরণ।
রাশিয়াও পাঠিয়েছে একটি উদ্ধারকারী দল। তাদের দলে রয়েছে ১২০ জন উদ্ধারকর্মী, চিকিৎসক ও অনুসন্ধানী কুকুর।
এদিকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জান্তা প্রধানের সাথে ফোনে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, বেইজিং তাঁবু, কম্বল এবং জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামসহ ১৩.৭৭ মিলিয়ন ডলার মূল্যের সহায়তা মিয়ানমারে পাঠাবে।
ভয়াবহ এ ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারে দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়। অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন, বাঁচার জন্য সেখান থেকেই কাঁদছেন তারা। ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহৎ শহর মান্দালয়।
ভূমিকম্প বিধ্বস্ত নেইপিদো, সাগাইং, মান্দালয়, ম্যাগওয়ে, বাগো ও পূর্ব শান এই ছয় প্রদেশ ও অঞ্চলে ইতোমধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে সামরিক সরকার।
এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের কাছে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে ‘সব দেশ’কে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহŸান জানিয়েছেন তিনি।
মিয়ানমারের এ আহŸানে সাড়া দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় শোক প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, মিয়ানমারের জনগণের পাশে দাঁড়াতে এরই মধ্যে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট দল কার্যক্রম শুরু করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্তি¡ক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্যমতে, শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর কেন্দ্র ছিল মিয়ানমারের দ্বিতীয় বড় শহর মান্দালয় থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের ১২ মিনিট পর ৬ দশমিক ৪ মাত্রার একটি পরাঘাত (আফটার শক) হয়।

্রিন্ট

আরও সংবদ