খুলনা | শুক্রবার | ০৬ জুন ২০২৫ | ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

‘জুলাই গণহত্যার দুই মামলার চার্জ চলতি মাসেই’

তদন্ত দলকে হত্যার উদ্দেশ্য বোমা পুঁতে রাখা হয় : চিফ প্রসিকিউটর

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩৮ এ.এম | ০৭ এপ্রিল ২০২৫


গুমের মামলা তদন্ত করতে যাওয়া দলকে হত্যার উদ্দেশ্য বোমা পুঁতের রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। রোববার কয়েকটি মামলার শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আমিসহ গুমের মামলা তদন্ত দলকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল। তবে কোনো ষড়যন্ত্র বিচার বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।
তাজুল ইসলাম বলেন, হত্যা-গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা, আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলা ও চানখারপুল গণহত্যার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এসেছে। এর মধ্যে অন্তত দু’টি মামলার ফরমাল চার্জ এ মাসেই ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে।
তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। কোনো ষড়যন্ত্র, স্ক্যান্ডাল ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ থামাতে পারবে না। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার কোনো দুর্নীতি কেউ প্রমাণ করতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জুলাই গণহত্যার তিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে। এগুলোর যাচাই-বাছাই চলছে। আশা করছি অন্তত দু’টি মামলার ফরমাল চার্জ এ মাসেই দাখিল করতে পারব।
চীফ প্রসিকিউটর বলেন, হত্যা-গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা, আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলা ও চানখারপুল গণহত্যার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এসেছে। এর মধ্যে অন্তত দু’টি মামলার ফরমাল চার্জ এ মাসেই ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো স্ক্যান্ডাল ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ থামাতে পারবে না। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার কোনো দুর্নীতি কেউ প্রমাণ করতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিভাগীয় পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল তৈরির নিয়ে রাজনৈতিক দলের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার মন্তব্য করা উচিৎ হবে। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের দাবি জানাতে পারে। রাজনীতির কাজ হচ্ছে দেশকে নিয়ে ভাবা। ফলে তারা এই বিষয়ে ভাবতে পারে। অপরাধের যে বিস্তৃতি, তা বিবেচনা করে ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। তবে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া কতটা বাস্তবসম্মত, সেটা সরকার অবশ্যই চিন্তা করবে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘একটা ট্রাইব্যুনাল অবশ্যই যথেষ্ট নয়। এখানে আরও ট্রাইব্যুনাল হওয়া উচিত। সরকারও এ ব্যাপারে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করছে। সহসাই অনন্ত দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালের যাত্রা শুরু হবে বলে আমরা আশাবাদী।’

্রিন্ট

আরও সংবদ