খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৭ এপ্রিল ২০২৫ | ৪ বৈশাখ ১৪৩২

স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে ষাটোর্ধ্ব বয়সী মানুষ ও প্রাণিকূল

এপ্রিল ও মে জুড়ে খুলনায় দাবদাহ বইবে কয়েক দফা

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:৫৬ এ.এম | ০৯ এপ্রিল ২০২৫


দক্ষিণ জনপদের বিভাগীয় শহর খুলনায় গেল শনিবারের এক পশলা বৃষ্টিতে দিনের তাপমাত্রা কমেনি। পহেলা বৈশাখের আগের দিন পর্যন্ত দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। মধ্য এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত এখানে কয়েক দফা দাবদাহ বইবে। এ সময় এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রী সেলসিয়াস ছাড়াতে পারে। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে ষাটোর্ধ্ব বয়সী মানুষ ও প্রাণিকূল। গত বছরের ২৯ এপ্রিল এখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ তথ্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের।
শুস্ক মৌসুমের শুরুতে ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে এক দফা বৃষ্টি হয়। দ্বিতীয় দফা বৃষ্টি হয় গেল শনিবার, ১২ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়। তাতেও তাপমাত্রা কমেনি।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা আবহাওয়ার পূর্বাভাসে উলে­খ করেন সোমবার খুলনায় ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস, মোংলায় ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং উপকূলবর্তী উপজেলা কয়রায় ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গত ৭ এপ্রিল খুলনায় মৃদ্যু তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও পার্শবর্তী এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। মৌসুমের স্বাভাবিকভাবে লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করে। ১১ এপ্রিল দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
সূত্রে জানানো হয়, গত বছরের ২০ এপ্রিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস, ২৫ এপ্রিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও ২৯ এপ্রিল ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা অমরেশচন্দ্র ঢালী জানান, ২০২২ সাল থেকে এ অঞ্চলে তাপমাত্রা বাড়ছে। এ মাসে এবং আগামী মাসে তাপমাত্রা বাড়লে মানুষের শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেবে। ষাট বছর বয়সী মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারে। প্রাণিকূল বিশেষ করে মুরগী ও গরুর প্রজনন ক্ষমতা কমবে।
শুষ্ক মৌসূমে প্রায় ৩ যুগ ধরে খুলনাঞ্চলের উপকূলে পানি সংকট নিরসনে বিভিন্ন কাজ হলেও সুপেয় পানির সংকট বেড়েই চলেছে। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরার অন্তত ৯ উপজেলার ৫০টিরও বেশি ইউনিয়নের ২৫-৩০ লাখেরও বেশি পরিবার সুপেয় পানির সংকটে রয়েছে। এসব এলাকার মানুষকে সুপেয় পানির জন্য সংগ্রাম করতে হয়। একটু বিশুদ্ধ পানি মহামূল্যবান তাদের কাছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর খুলনার তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মো. জামানুর রহমান বলেন, এ অঞ্চলের মানুষের সুপেয় পানি সংকটের বিষয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা দশ ধরনের টেকনোলজি ব্যবহার করে উপকূলীয় অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার গ্রামাঞ্চলে পানি সরবরাহ করছি। শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই জলবায়ুর পরিবর্তন এবং ফারাক্কা বাধেঁর কারণে পানির স্তর নিন্মমুখী। সে কারণে আমাদের যে পানির উৎসগুলো আছে সেগুলো সচল করার চেষ্টা করছি। যাতে করে মানুষের পানির কষ্ট লাঘব হয়।

্রিন্ট

আরও সংবদ