রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের মাছুয়াডাঙ্গা গ্রামে ৩ যুবককে মাদকসেবিরা কুপিয়ে জখমের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গুরুতর জখম তারেকের পিতা নুর ইসলাম শেখ বাদী হয়ে গতকাল বুধবার মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ ইতিমধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মাছুয়াডাঙ্গা গ্রামের হাফিজুর রহমানের পুত্র আবু তালেব শিকারী (২৭) এবং  মোতালেব শিকারী (৩৫) কে গ্রেফতার করেছে। এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর জখম তারেককে মঙ্গলবার রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে সাথে থাকা বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।   
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে মাছুয়াডাঙ্গা এবং আমদাবাদ গ্রামের কতিপয় যুবক মাছুয়াডাঙ্গার কামালের বাড়ির সন্নিকটে মাদক সেবন করছিল। এ সময় মনির শেখ এবং তারেক শেখসহ স্থানীয় কয়েক যুবক তাদেরকে ধাওয়া করে । এর পরিপেক্ষিতে  মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারী আবু তালেব এবং মোতালেবের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা মনির শেখ (২৯),  তারেক শেখ (৪২) এবং ইয়াকুব হোসেন রিয়াল (২৩) কে ধারালো  অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। তাদের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এলাকাবাসীর আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহত তারেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তারেকের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। হামলাকারীরা ঘটনার সময় ভুক্তভোগীর একটি দামী মোবাইল সেট কেড়ে নিয়ে যায় বলে মামলায় উলে­খ করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা হলো  মাছুয়াডাঙ্গা  গ্রামের হাফিজুর রহমান, আমদাবাদ গ্রামের আবুল বাশারের পুত্র আলামিন, বেলায়েত শেখের পুত্র মামুন শেখ, ইসরাইল শেখের পুত্র শুকুর শেখ,  বাহের ওলাদারের পুত্র মহিনুর হাওলাদার ওরফে মিন্টু, বাসার শেখের পুত্র ইয়াসিন, লাল চান পিতা অজ্ঞাত, এবং তিলক গ্রামের কাজল শিকারীর  পুত্র মাসুদ শিকারীসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন। এ ব্যাপারে রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান জানান ঘটনার সাথে জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।