খুলনা | মঙ্গলবার | ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | ২ বৈশাখ ১৪৩২

কলারোয়ায় মাদক ব্যবসায়িকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের উপর হামলা, গ্রেফতার ৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা |
১২:৩৫ এ.এম | ১৩ এপ্রিল ২০২৫


সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ফেন্সিডিলসহ আটক মাদক কারবারিকে ছাড়িয়ে নেয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কলারোয়া থানার উপ-পরিদর্শক নিকুঞ্জ রায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কলারোয়ার কাজীরহাট বাজারের ব্র্যাক মোড়ে মোসলেম কারিকরের চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 
গ্রেফতারকৃতরা হলো, কলারোয়া উপজেলার উত্তর দিগং গ্রামের মুজিবর রহমানের ছেলে সোহাগ হোসেন, একই গ্রামের হারুণ অর রশীদের ছেলে জহুরুল ইসলাম, বাবু কাগুচীর ছেলে রাসেল হোসেন, মুনসুর কারিকরের ছেলে মোসলেম কারিকর ও আলমগীর কাগুচির স্ত্রী নাসরিন খাতুন। মামলার বাদি উপ-পরিদর্শক নিকুঞ্জ রায় জানান, তিনি ও তার সহকর্মী উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ শুক্রবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ইউরেকা পেট্রোল পাম্পের পাশে অবস্থান করছিলেন। এ সময় গোপনে খবর পান কাজীরহাট বাজারের ব্র্যাক মোড়ের পাশে মোসলেম কারিকরের দোকানের সামনে এক ব্যক্তি মাদক বিক্রির জন্য অবস্থান করছে। রাত ৯টা ৫ মিনিটে তারা মোসলেম কারিকরের দোকানের সামনে পৌঁছালে সোহাগ হোসেন নামে এক যুবক হাতে ২০/২৫ বোতল ফেন্সিসডলসহ পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় তাকে আটক করে হাতকড়া পরানোর সময় আটক আসামিসহ বাদশা, মনিরুল, বাবু কাগুচী, মুজিবর কাগুচী ও ছবিরণসহ ১০/১২ জন জহুরুল ও রাসেল সোহাগের হাতে থাকা ফেন্সিডিলের ব্যাগ কেড়ে নেয়। এ সময় তারা পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে সোহাগকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। হামলায় উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমানের বাম হাতের কনুইতে হাড়ভাঙা জখম হয়। খবর পেয়ে কলারোয়া থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পাঁচজন হামলাকারিকে গ্রেপ্তার করে। 
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)  সামসুল আরেফিন জানান, সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে ফেন্সিডিলসহ সোহাগকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় উপ-পরিদর্শক নিকুঞ্জ রায় বাদী হয়ে শনিবার থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় গ্রেফতার পাঁচজনসহ ১০ জনের নাম উলে­খ করে অজ্ঞাতনামা ১২ জনকে আসামি শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে।  গ্রেফতার পাঁচজনকে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। 

্রিন্ট

আরও সংবদ