খুলনা | বুধবার | ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | ১০ বৈশাখ ১৪৩২

৫ আগস্টের পর খুলনায় বিতর্কিতরা ভিড়ছে যুবদলে

চূড়ান্ত সতর্কবার্তা, আগামী ৭ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে কেন্দ্রের নির্দেশনা

এন আই রকি |
০১:৪৯ এ.এম | ১৩ এপ্রিল ২০২৫


খুলনা মহানগর ও জেলা যুবদলের নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা মানছেন না। যার কারণে চূড়ান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছে চার শীর্ষ নেতাকে। বিষয়টিকে সংগঠনের স্বাভাবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেখছেন অনেকেই। অন্যদিকে ৫ আগস্টের পর আ’লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং হত্যা মামলার আসামিসহ একাধিক বিতর্কিত নেতারা ভিড়তে শুরু করেছেন যুবদলে। গত ৫ ফেব্র“য়ারি যুবদলের আংশিক কমিটি প্রদানের পর এইসব বিতর্কিত নেতা-কর্মীরা ভিড়তে শুরু করেছে।  
এদিকে মহানগর যুবদলের আহবায়ক আবদুল আজিজ সুমন এবং সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম রুবেল এই প্রথমবার এমন শীর্ষ নেতৃত্বে এসেছেন। তারা দুইজন যুবদলের কমিটির দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ১৫ ফেব্র“য়ারি একটি বর্ধিত সভা এবং একটি জরুরি সভা করেছে। 
জেলা যুবদলের আহবায়ক ইবাদুল হক রুবায়েদ পূর্বে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নতুন মুখ সদস্য সচিব নাদিমুজ্জামান জনি। একাধিক নেতারা জানান, রুবায়েদ পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। পাশাপাশি খুলনার একটি আসনে আগামী মনোনয়ন প্রত্যাশী যেটা নিয়েই বেশি ব্যস্ত। যার ফলে এখন অবধি জেলা যুবদল কোন বর্ধিত সভা বা কর্মী সভা করা হয়নি। 
পাশাপাশি কমিটি পাওয়ার পর নগর ও জেলা যুবদলের চার নেতার নেতৃত্বে ইফাতার মাহফিল, ঈদ উপহারসহ নানান কর্মসূচি পালন করেন। এছাড়া বিভিন্ন খেলার পুরস্কার বিতরণীসহ নানান সামাজিক কর্মকান্ডে যুবদলের নেতাদের দেখা গেছে। এইসব কর্মকান্ডে খুলনার ফুলবাড়িগেট এলাকার আরিফ হত্যা মামলার আসামি, ফুলতলা এলাকার আ’লীগ নেতা আলমগীর, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী দৌলতপুর, খালিশপুর ও সদরের একাধিক যুবককে যুবদলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।  
এদিকে গতকাল যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের নির্দেশনায় মহানগর ও জেলা যুবদলের আহবায়ক এবং সদস্য সচিবকে সতর্কীকরণ চিঠি দেওয়া হয়েছে। 
কেন্দ্রীয় কমিটির সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুইয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, কমিটি  গঠনের পর ৩০ দিনের মধ্যে ৫১সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও সেটা করা হয়নি। যা সংগঠনের নীতি ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী। তাই চূড়ান্ত সতর্কবার্তা হিসেবে আগামী ৭ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে কেন্দ্রে জমা দিতে বলা হয়েছে। এর ব্যত্যয় হলে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করা হবে। 
মহানগর যুবদলের আহবায়ক আবদুল আজিজ সুমন বলেন, কমিটি পাওয়ার পর আমরা বর্ধিত সভা ও কর্মী সভা করেছি। রমজান ও ঈদসহ নানান কারণে কমিটি করতে পারিনি। 
জেলা যুবদলের আহবায়ক ইবাদুল হক রুবায়েদ জানান, ঢাকায় থাকলেও আমি সব থেকে বেশি প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকি। বিতর্কিতদের যেসব কথা বলা হচ্ছে সেগুলো সামাজিক প্রোগ্রামের ছবি। কোন দলীয় প্রোগ্রামের নয়। 
মহানগরের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম রুবেল বলেন, আমরা মহানগর, থানা এবং ওয়ার্ডের কমিটি একত্রে করে জমা দিতে চেয়েছিলাম। তাই বিলম্ব হয়েছে। এছাড়া বিতর্কিত যারা যুবদলের বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশ নিয়েছে তাদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। জেলা সদস্য সচিব নাদিমুজ্জামান জনি  জানান, আহবায়ক জরুরি কাজে ঢাকায় গেছেন। সতর্কীকরণের চিঠি পেয়েছি। খুব দ্রুতই আমরা ব্যবস্থা নিবো।  

্রিন্ট

আরও সংবদ