খুলনা | শুক্রবার | ০২ মে ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

কালবৈশাখীর থাবায় তালার কৃষকের স্বপ্ন ছিন্ন ভিন্ন

তালা প্রতিনিধি |
১১:১৭ পি.এম | ১৯ এপ্রিল ২০২৫


তালায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও কালবৈশাখী ঝড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে ১৯ হাজার ১৫৫ হেক্টর আবাদের অধিকাংশ ধান ক্ষেত। শনিবার বিকেল মাঠের পর মাঠে ধান গাছ মাটিতে লুটিয়ে পাড়ার এমন করুন পরিস্থিতি চোখে পড়েছে তালার বারুইহাটি বিলে।
তালা উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এবছর উপজেলা ১২ টি ইউনিয়নে বোরো আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯হাজার ১৫৫ হেক্টর। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে পুরুণ হতো কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা! তবে কাল বৈশাখী ঝড়ে সর্বনাশ হয়ে গেছে এই জনপদের ধানের জমি। মাথায় হাত উঠেছে কৃষকের। এমন পরিস্থিতি থাকলে সকল লক্ষৃৃৃৃৃৃৃৃৃমাত্রা বর্জন হওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান।
সাতক্ষীরায় আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী চলতি মাসের ১৮ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল সাতক্ষীরার আকাশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ছিল। তাছাড়া কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস ছিল। আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানা গেছে। এছাড়া ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে মধ্যে শতকরা ৫ ভাগ ধান কর্তন করে বাড়িতে এনেছেন কৃষকরা। মাঠে প্রায় ৪০ ভাগ ধান কেটে মাঠিতে শুকাতে রাখা হয়েছে, কিন্তু শুকাতে রাখা ধান এখন বৃষ্টির পানিতে ভাসছে। বাকি ৫৫ ভাগ ধান এখন কাটতে বাকি আছে। দুঃখের বিষয় এখন অধিকাংশ ধান কালবৈশাখী ঝড়ে লুটিয়ে পড়েছে মাটিতে। আর এখানেই কৃষকের স্বপ্ন ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।
তালার নগরঘাটা এলাকার শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি শাকদাহ বিলে ১৮ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছেন। এখন সকল ধান মাঠে মাটিতে পড়ে গেছে। ইসলামকাটি গ্রামের আকবর আলী জানান, তিনি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তিন বিঘা জমিতে চান চাষ করেছে, তার ধান কেটে রাখার পর এখন পানিতে ভাসছে। তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের মোজাম্মেল হক জানান, তিনি গরু বিক্রি করে ২ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন। গত কাল শুক্রবার বিকেলে ঝড়ে সকল ধান মাটির লুটিয়ে পড়েছে এখন কোন ধানে পুষ্টি হবে না। তালা সদরের আগোলঝাড়া গ্রামের রমজান আলী জানান তার সকল ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে,তিনি অপুরনীয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বারুইহাটি গ্রামের মোঃ ফারুক হোসেন জানান, তার সকল জমির ধান মাটিতে পড়ে গেছে  সার, বীজ, ডিজেলের, কীটনাশক এর দোকানে হালখাতা করবো কিভাবে।
তালা উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অফিসার হাজিরা বেগম জানান,  উপজেলা সকল কৃষকদের শতকরা ৮০ ভাগ ধান পাকলেই কর্তন করতে পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া প্রতিটি ব্লকে কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকের পাশে থেকে বিভিন্ন পরামর্শ অব্যহত রেখেছেন।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ