দুই অঙ্কের ঘরে গিয়েছেন দলের শীর্ষ ব্যাটারদের প্রত্যেকেই। কিন্তু সেখান থেকে বড় রান করা হলো না কারোরই। স্কোরবোর্ডে ভদ্রস্থ পুঁজি করার আগেই সাজঘরে ফিরছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। দলের মিডলঅর্ডারের বড় দুই ভরসা মেহেদি হাসান মিরাজ আর মুশফিকুর রহিম অবশ্য কাটা পড়েছেন দুই অঙ্কের ঘরে যাওয়ার আগেই।

লাঞ্চের আগে দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশ বিপাকে পড়েছে পানি পানের বিরতির পর থেকে। শেষ ১৪ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে রীতিমত কাঁপছে টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপ। জিম্বাবুয়ের বোলিংটাই যেন এখন বাংলাদেশের ব্যাটারদের কাছে রীতিমত দূর্বোধ্য।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান। ব্যাটারদের আসা যাওয়ার এই মিছিলে একমাত্র বলার মতো অর্জন মুমিনুল হকের ৫৬ রানের ইনিংসটা।  

সকালের আলোতে ১ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে খানিক চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেটা সামাল দিয়েছিল শান্ত এবং মুমিনুলের ৬৬ রানের জুটি। লাঞ্চের পর শান্ত আউট হলেন ব্লেসিং মুজারাবানির ফাঁদে পড়ে। শর্ট লেন্থ আর ফুল লেন্থের ধাঁধায় বিভ্রান্ত করেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ককে। ৪০ রানে ফেরেন তিনি।

নতুন ক্রিজে আসা মুশফিকুর রহিম করেছেন মোটে ৪ রান। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার একেবারেই নিরীহদর্শন বলে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দেন তিনি। খানিকবাদে সেই মাসাকাদজার বলে একইরকমের শট খেলে আউট হন মুমিনুল হক। যদিও আউটের আগে তুলে নেন আরও একটা ফিফটি। মুমিনুলের পর ক্রিজে এসে মিরাজ টিকলেন ৪ বল। মুজারাবানির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন বাংলাদেশ সহ-অধিনায়ক।