খুলনা | মঙ্গলবার | ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

বিএনপি’র বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে এড. মনা

প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিভাবে আ’লীগ রাজপথে মিছিল করলো খুলনাবাসী জানতে চায়

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০২:০২ এ.এম | ২২ এপ্রিল ২০২৫


মহানগর বিএনপি’র সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, পতিত আ’লীগের কেউ দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বা কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা কঠোর ভাবে প্রতিহত করার আহŸান জানিয়ে খুলনা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ বলেছেন, স্বৈরাচারী হাসিনা পালিয়ে গিয়েও থেমে নেই; দেশে নৈরাজ্য, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। স্বৈরাচারের দোসররা সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের আপচেষ্টা করছে। ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার মাত্র ৮ মাসের মাথায় আ’লীগের সক্রিয় হচ্ছে। রাজপথে প্রকাশ্যে ঝটিকা মিছিল করছে। ঝটিকা মিছিলের নেপথ্যে কারা মদদ দিচ্ছে? গণ-অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে শেখ হাসিনা। তার পালিয়ে যাওয়ার মধ্যদিয়ে দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের স্বৈরশাসকের অবসান ঘটেছে। কিন্তু প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে হাজারো শহিদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে কিভাবে আওয়ামী লীগ রাজপথে মিছিল করলো খুলনাবাসী জানতে চায়। ফ্যাসিবাদ সরকারের বিদায় হলেও দেশকে অস্থিতিশীল করতে পরাজিত ফ্যাসিবাদরা গভীর ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে আর এদের মদদ দিচ্ছে দেশের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা দোসররা। অবিলম্বে দোসরদের খুঁজে বের করতে হবে। 
গতকাল সোমবার বিকেল ৪টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে পতিত স্বৈরাচার খুনি হাসিনার দোসরদের নৈরাজ্য, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি’র বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তারা আরো বলেন, প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী দোসরদের চিহ্নিত করে তাদের মুখোশ প্রকাশ্যে উন্মোচন করতে হবে। ফের যদি আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বা কোনো ধরনের অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না; কঠোর হস্তে জবাব দিতে হবে। দীর্ঘ ১৫ বছর এ দেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে যে সফলতা পেয়েছি তার মর্যাদা ধরে রাখতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, নির্বাচন ছাড়া কোনো সরকার দীর্ঘদিন থাকলে ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার জন্ম নেয়। বিএনপি জনগণের গণতান্ত্রিক ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার সাহসী ও ত্যাগী ভূমিকার কারণে দেশের মানুষ আজ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। আমরা যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি তা হারিয়ে যেতে দিবো না। যেখানেই পতিত সরকারের দোসররা সংঘবদ্ধ হবে সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
অবিলম্বে মিছিলকারীদের গ্রেফতার করার দাবি জানিয়ে বলেন, খুলনায় আ’লীগের বিরুদ্ধে অনেক মামলা হয়েছে কিন্তু অজ্ঞাত কারনে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না পুলিশ প্রশাসনের প্রতি প্রশ্ন রেখে তারা বলেন, বিএনপি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, বিএনপিকে কঠোর হতে বাধ্য করবেন না। বিএনপি ঘুরে দাঁড়ালে যদি কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিত সৃষ্টি হয় তার জন্য পুলিশ প্রশাসনই দায়ি থাকবেন। খুলনার মাটিতে কোন আওয়ামী লীগের কোন ফ্যাসিস্টের জায়গা হবে না-হবে না।
অনুষ্ঠিত সমাবেশে সমাবেশে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র আহবায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, মহানগর সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, জেলা যুগ্ম-আহবায়ক এড. মোমরেজুল ইসলাম, খান জুলফিকার আলী জুলু, মোল­া খায়রুল ইসলাম, শেখ তৈয়েবুর রহমান, গাজী তফসির আহমেদ, জি এম কামরুজ্জামান টুকু, মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, হাসানুর রশীদ চৌধুরী মিরাজ, মহানগর বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক এড. নুরুল হাসান রুবা, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, থানা সভাপতির কেএম হুমায়ূন কবির, সেখ হাফিজুর রহমান মনি, মুর্শিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, এড. শেখ মোহাম্মদ আলী, মোল­া ফরিদ আহমেদ, শেখ ইমাম হোসেন, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, আসাদুজ্জামান আসাদ, মোঃ হাবিবুর রহমান বিশ^াস, মহানগর বিএনপি’র সাবেক সদস্য আলী আক্কাস, জেলা বিএনপি নেতা এনামুল হক সজল, মোল­া মাহবুবুর রহমান, সারোয়ার হোসেন, জি এম রফিকুল হাসান, হাফিজুর রহমান, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, আশরাফুল ইসলাম নূর, শাকিল আহমেদ দিলু, নিত্যানন্দ মন্ডল, মোল­া রিয়াজুল ইসলাম, জেলা যুবদলের আহবায়ক এবাদুল হক রুবায়েদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আতাউর রহমান রনু, জেলা কৃষকলের সভাপতি মোল­া কবির হোসেন, এড. তসলিমা খাতুন ছন্দা, মাওলানা ফারুক হুসাইন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব নাদিমুজ্জামান জনি, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রী, গোলাম মোস্তফা তুহিন, শেখ আবু সাঈদ, সেতারা সুলতানা, মহানগর যুবদলের আব্দুল আজিজ সুমন, রবিউল ইসলাম রুবেল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের মিরাজুর রহমান মিরাজ, মুনতাসির আল মামুন, ইস্তিয়াক আহমে ইসতি, শ্রমিক দলের মুজিবুর রহমান, শফিকুল ইসলাম শফি, মহিলা দলের আজিজা খানম এলিজা, ছাত্রদলের তাজিম বিশ্বাস, মাজহারুল ইসলাম রাসেল, সৈয়দ ইমরান, জাসাসের নুর ইসলাম বাচ্চু, কেএমএ জলিল, কৃষক দলের  আখতারুজ্জামান তালুকদার সজীব, আদনান ইসলাম দ্বীপ, জাকির ইকবাল বাপ্পী, মো. নাসির উদ্দিন, মতলেবুর রহমান মিতুল, মোঃ বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন সভাপতি শেখ আবু সাইদ, ইফতেখার হোসেন বাবু, শেখ মনিরুজ্জামান মনির, মাসুদউল হক হারুন, মোল­া মশিউর রহমান, মোঃ শফিকুল ইসলাম, মোঃ সালাউদ্দিন মোল­া বুলবুল, গাজী আফসার উদ্দিন, এস এম নুরুল আলম দিপু, শেখ মোস্তফা কামাল, আজিজুর রহমান, শেখ আব্দুল আলীম, শেখ মনিরুজ্জামান মনির, শেখ হাবিবুর রহমান, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ মাহমুদ আলম মোড়ল, লিটন খান, মোঃ সাইফুল আলম, এড. কাজী সামীম, সৈয়দ হাসান উল­াহ বুলবুল, মোঃ জাহাঙ্গীর শেখ, মোঃ জাহিদুল হোসেন, সাহিনুল ইসলাম পাখি, হায়দার আলী তরফদার, কাজী মোঃ ইকরাম মিন্টু, মোঃ বেলায়েত হোসেন, মোঃ হুমায়ূন কবির, লিয়াকাত হোসেন লাভলু, মোঃ খবির উদ্দিন, মোঃ জয়নাল আবেদিন, মোঃ মতলুবুর রহমান মিতুল, ইকবাল হোসেন মিজান, শেখ আলমগীর হোসেন, শেখ আব্দুস সালাম, মোঃ নুরুল ইসলাম, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, মোঃ বায়েজিদ, মেশকাত আলী, মঞ্জুরুল আলম, জুয়েল খান, মোঃ নাজমুস সাকিব, মোঃ সওগাতুল আলম ছগীর, মোঃ আমিন আহমেদ, মোঃ শওকত আলী বিশ্বাস লাবু, সাইফুল ইসলাম, মোঃ ওহিদুজ্জামান হাওলাদার, কাজী মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ আবুল ওয়ারা, মোঃ কামরুজ্জামান রুনু, মোঃ আরিফুল ইসলাম বিপ্লব, শেখ জাকির হোসেন, মোঃ সবুজ হোসেন, মোঃ গোলাম মোস্তফা ভুট্টো, মোঃ মাহফুজুর রহমান মাজু, এ এম  মাসুম বিল­াহ, মোঃ খোদাবক্স কোরাইশী কালু, মোঃ আবুল কালাম, শেখ নুরুল ইসলাম, গাজী সালাউদ্দীন,  সৈয়দ মইনুল ইসালাম, মোঃ রকিবুল ইসলাম মিঠু, মোঃ আরমান শেখ, খন্দকার ইকবাল কবীর, শেখ আনসার আলী, মোঃ রাসেলুজ্জামান, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মীর শওকত হোসেন হিট্টু, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন খোকা, মোঃ রফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির, শেখ মোঃ মফিজুর রহমান, শেখ সরোয়ার, জামির হোসেন দিপু, মোঃ মুরাদ হোসেন, মোঃ মফিজুল সরদার, সৈয়দ আজাদ হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান, বাবুল রানা, মোঃ সোহরাব মোল­া, মোঃ ইয়াছিন মোল­া, আব্দুল কারে মলি­ক, শেখ মনিরুল ইসলাম, মোঃ বক্কর মীর, মোঃ আলী আফজাল, ডাঃ শাহিন আহসান, মোঃ আসমত আলী, জাহাঙ্গীর কবির, মোঃ হালিম শেখ, মোঃ আব্দুল হাই কালু, মোঃ বাচ্চু শেখ, এস আরিফুর রহমান শিমুল, মোঃ সহিদুজ্জামান জুয়েল, মিজানুর রহমান, আছাদুজ্জামান মনির, শেখ মোঃ কবির হোসেন টিটো, মোঃ মুরা হোসেন, মাঃ সাইফুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ বিল­াল হোসেন, মোঃ আকসির হোসেন, মোঃ রইজ উদ্দিন, মোঃ মামুন শেখ (মেম্বর) ও শেখ আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। 
পরে দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে কেডি ঘোষ রোড, পিসি রায় রোড, যশোর রোড হয়ে ফেরিঘাট মোড় ঘুরে স্যার ইকবাল রোড় দিয়ে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।

্রিন্ট

আরও সংবদ