খুলনা | শুক্রবার | ২৫ এপ্রিল ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২

কেডিএ’র সাথে মতবিনিময়কালে উন্নয়ন কমিটি

পরিকল্পিত ও পরিবেশবান্ধব আধুনিক খুলনা গড়তে ১০০ বছরের পরিকল্পনা প্রণয়নের দাবি

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০১:৫৪ এ.এম | ২৩ এপ্রিল ২০২৫


পরিকল্পিত ও পরিবেশবান্ধব আধুনিক খুলনা গড়তে আগামী ১০০ বছরকে সামনে রেখে পরিকল্পনা প্রণয়নের দবি জানিয়েছেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি।
কেডিএ’র কনফারেন্স রুমে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাংগীর হোসেন, পিএসসি-এর সাথে মতবিনিময় করেন খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সম্বন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। 
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে খুলনা উন্নয়ন কমিটির পক্ষ থেকে ১৫ দফা লিখিত দাবি উপস্থাপন ও কেডিএ’র চেয়ারম্যানের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এ সময় খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন খুলনার জনগনের জন্য আমার সময়কালে আমার সাধ্যমতো কাজ করে যাবো। এজন্য আপনারা খুলনাবাসী আমাকে সহযোগিতা করবেন।  
কেডিএ’র নিকট উন্নয়ন কমিটির পেশকৃত দাবি সমূহ হলো ১. কেডিএ’কে একটি জনমুখী সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে। ২. অপরিকল্পিত আবাসন প্রকল্প ও নিয়মবহির্ভূত বহুতল ভবন নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। এছাড়া ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে কোড পদ্ধতির ব্যবস্থা করতে হবে। ৩. ভ‚-তাত্তি¡ক জরিপের মাধ্যমে আগামী ১০০ বছরের উপযোগী একটি বিস্তারিত ডিজিটাল মাস্টার প্লান প্রণয়ন করতে হবে। ৪. খুলনা বাস টার্মিনাল অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যানজট নিরসনের ব্যবস্থা গ্রহণ ও রাস্তা প্রশস্ত করতে হবে।  ৫. খুলনাকে পরিবেশবান্ধব শিল্পনগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে জোনিং পদ্ধতির প্রবর্তন বাধ্যতামূলক করতে হবে। যাতে করে কৃষি জোন ও মৎস্য জোন, অর্থনৈতিক জোন ইত্যাদি নামে শিল্প স্থাপনের এলাকার শ্রেণি বিভাগ করা যায়। ৬. প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নে সকল অনিয়ম, দীর্ঘসূত্রতা বন্ধ করে জনভোগান্তি কমাতে হবে।  ৭. খুলনা নগরীর আবাসিক এলাকার নাগরিক সুবিধা বাড়াতে আরো নতুন নতুন শপিং কমপ্লেক্স, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিশুদের খেলাধুলার মাঠসহ মসজিদ, উপাসনালয় নির্মাণের পরিকল্পনা নিতে হবে। ৮. মংলা সমুদ্র বন্দর, বেনাপোল স্থলবন্দর, ভোমরা স্থল বন্দরের গুরুত্ব বিবেচনা করে খুলনা উন্নয়ন পরিকল্পনা করতে হবে। ৯. পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় পর খুলনা মহানগর হাব হিসেবে বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া, রূপসা, দিঘলিয়া ও তেরখাদা উপজেলার আংশিক মহানগরের সাথে সম্পৃক্ত করে আধুনিক নগর পরিকল্পনার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ১০. রূপসা বাইপাস শিপইয়ার্ড রোড, নিরালা রোড, গল্লামারি থেকে রায়েরমহল, আড়ংঘাটা থেকে রায়েরমহল সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। ১১. খুলনা নিউ মার্কেটের পাশে প্রান্তিকে আধুনিক মার্কেট নির্মাণ করতে হবে। ১২. অদূর ভবিষ্যতে ফ্লাইওভার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। ১৩. খুলনা রেলওয়ের অব্যবহৃত জমি পরিকল্পনার আওতায় আনতে হবে। ১৪. রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়াকে খুলনা শহরের সাথে সংযোগের জন্য টানেল নির্মাণ করতে হবে।  ১৫. খুলনায় অবৈধ পরিকল্পনাহীন আবাসন প্রকল্পগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।  
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেডিএ’র সদস্য (এষ্টেট) মোঃ ইকবাল হোসেন, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) এম এম মাহমুদুর রহমান, সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রন) মোঃ রেজা রশিদ, (সদস্য, উন্নয়ন) রুহুল আমিন কুতুব উদ্দিন, পরিচালক (এস্টেট) আহমাদ জাকিয়া সুলতানা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন, প্রধান প্রকৌশলী কাজী সাবেরুল আলম, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী শামীম জেহাদ, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী (অথোরাইজ অফিসার) জি এম মাসুদুর রহমান, উন্নয়ন কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান, মহাসচিব এড. হাফিজুর রহমান হাফিজ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নিজামউর রহমান লালু, মিনা আজিজুর রহমান, অধ্যাপক মোঃ আবুল বাসার, অধ্যক্ষ রেহানা আক্তার, মিজানুর রহমান বাবু, প্রফেসর সেলিনা বুলবুল, এড. শেখ আবুল কাসেম, মোঃ খলিলুর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব মোঃ মনিরুজ্জামান রহিম, সৈয়দ এনামুল হাসান ডায়মন্ড, শেখ গোলাম সরোয়ার, আবুল হাসান হিমালয় প্রমুখ। 
 

্রিন্ট

আরও সংবদ