খুলনা | বৃহস্পতিবার | ০১ মে ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

অতিরিক্ত ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা

চুয়াডাঙ্গায় গরমের তীব্রতা বাড়ছে, তাপমাত্রা ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস

নিজস্ব প্রতিবেদন |
০৪:৫৪ পি.এম | ২৩ এপ্রিল ২০২৫


চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ২৮ শতাংশ, যা গরমের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অতিরিক্ত ভ্যাপসা গরমে মানুষ পড়েছে হাঁসফাঁস অবস্থায়।

এই প্রচণ্ড গরমে সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষজন।

জেলা আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বয়ে যাওয়া মাঝারি তাপপ্রবাহ সাময়িক হলেও এর তীব্রতা আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। গরম ও আর্দ্রতার সংমিশ্রণে বেড়ে গেছে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কাও। এ অবস্থায় শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের সতর্ক থাকতে এবং যথাসম্ভব রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

এদিকে দিনের তাপমাত্রা বাড়লেও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কম থাকায় কিছুটা স্বস্তি মিলছে। তবে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গরমের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি অনুভূত হচ্ছে। জেলার মানুষ এখন স্বস্তির বৃষ্টির অপেক্ষায়।

শহরের রেলগেট এলাকায় ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা আব্দুল মান্নান বলেন, অতিরিক্ত গরমে সারাদিন রাস্তায় ভ্যান চালানোটা খুবই কষ্টকর। গরম আর ঘামে চোখে অন্ধকার দেখা দেয়। তবু তো চালাতে হয়, পেটের দায়ে।

দিনমজুর গফুর হোসেন বলেন, রোদের তাপ এত বেশি যে কাজ করতে গেলে শরীর জ্বলতে থাকে। পানি খেয়েও তৃষ্ণা মেটে না, ক্লান্তি যেন ঘাড়ে চেপে বসে আছে।

রাস্তায় চলাচলকারী পথচারী সাদ্দাম হোসেন বলেন, বাইরে একটু বের হলেই মনে হয় শরীর পুড়ে যাচ্ছে। রাস্তার মধ্যে দাঁড়াতে কষ্ট হয়, ঘামে জামাকাপড় ভিজে একেবারে স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ বুধবার বিকেল ৩টায় এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৮ শতাংশ। বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকায় গরম কম অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি ও তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ