খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১১ বৈশাখ ১৪৩২

খুলনায় জুলাই আন্দোলনে হামলা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:৫৩ এ.এম | ২৪ এপ্রিল ২০২৫


গত বছর জুলাই আন্দোলন চলাকালীন ৪ আগস্ট নগরীর গগণবাবু রোডে ছাত্র-জনতার উপর হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে আওয়ামী লীগ, সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাসহ মোট ১২১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়া এক ভিকটিম বাদী হয়ে এই অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়, “জুলাই আন্দোলন” চলাকালে তালুকদার আব্দুল খালেকের বাসার সামনে ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে অবরুদ্ধ করে মারধর ও গুলিবর্ষণ করা হয়। এছাড়াও নারীদের গুমের উদ্দেশ্যে আটকে রাখার গুরুতর অভিযোগও তোলা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন : সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, সাবেক সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সাবেক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, সাবেক সংসদ সদস্য  বদিউজ্জামান সোহাগ, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, শেখ সোহেল, সাবেক সংসদ সদস্য ননী গোপাল মণ্ডল, সাবেক সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য সালাম মূর্শিদী, সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোজাম্মেল হক, অতিরিক্ত কমিশনার রাকিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সোনালী সেন, খুলনা সদরের সাবেক ওসি মোঃ কামাল, সাবেক ওসি তদন্ত নিমাই কান্তি, এস আই রকিব, বাগেরহাট সদরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সর্দার নাসির, নগর যুবলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, সুলতান আহমেদ খান (সাবেক চেম্বার সভাপতি), শরীফ আতিয়ার রহমান (তালুকদার আব্দুল খালেকের সহযোগী) মোস্তফা হোসেন ভুট্টো (ব্যবসায়িক অংশীদার), রামপালের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ। 
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের আহŸান জানিয়েছে। তারা বলেন, জনগণের উপর এ ধরনের বর্বর হামলা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পরিপন্থী। মামলাটি বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩-এর ধারা অনুযায়ী বিচারাধীন রয়েছে।

 

্রিন্ট

আরও সংবদ