খুলনা | সোমবার | ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

বিজেপি সরকারের দাবি

আগাম পর্যটকদের কথা জানত না প্রশাসন, তাই সেনা ছিল না পেহেলগামে!

খবর প্রতিবেদন |
০৭:৪০ পি.এম | ২৫ এপ্রিল ২০২৫


জম্মু-কাশ্মীরের গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণ এলাকা পেহেলগামে সশস্ত্র হামলার সময় কোনো ভারতীয় সেনা কিংবা নিরাপত্তা বাহিনী উপস্থিত ছিল না। আর সেনা না থাকার কারণ হিসেবে বিজেপি সরকারের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, স্থানীয় প্রশাসন পর্যটকদের 'আগাম ভ্রমণ' শুরু হওয়ার বিষয়ে কিছুই জানত না।

ভয়াবহ হামলার পর ভারতে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আহ্বানে বৈঠকে গুরুতর প্রশ্ন তোলে বিরোধী দলগুলো।

সর্বদলীয় বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল বৈসরনে সেনাবাহিনীর অনুপস্থিতি। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রথমে সেনা বা নিরাপত্তা না থাকার প্রশ্নটি উত্থাপন করেন। এরপর রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিংসহ আরও অনেকে তার প্রশ্নে সহমত পোষণ করেন।

প্রশ্নের জবাবে বিজেপি সরকার ব্যাখ্যা করে, জুন মাসে শুরু হওয়া বার্ষিক 'অমরনাথ যাত্রা'র আগে এলাকাটি সাধারণত সুরক্ষিত থাকে। এরপরই রুটটি আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়। অমরনাথ মন্দিরে যাওয়ার পথে বৈসরন এলাকায় বিশ্রাম নেওয়া তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

তারা ব্যাখ্যা দেয়, স্থানীয় ট্যুর অপারেটররা তীর্থযাত্রার সিজনের জন্য নিরাপত্তা মোতায়েন করার আগেই ২০ এপ্রিল থেকে পর্যটকরা এই অঞ্চলে যেতে শুরু করে। স্থানীয় প্রশাসনকে পর্যটকদের আগাম ভ্রমণ শুরু হওয়ার বিষয়ে অবহিত করা হয়নি এবং তাই কোনো সেনা মোতায়েন করা হয়নি।

এ সময় বিরোধীদের আরেকটি প্রশ্ন তোলে, ভারতের যদি পানি সংরক্ষণের ক্ষমতা না থাকে তাহলে কেন্দ্র সরকার কেন সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করল?

এর জবাবে বিজেপি সরকার ব্যাখ্যা করে, কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সরকারের ইচ্ছা প্রকাশের জন্য চুক্তিটি স্থগিত করা হয়। একটি শক্তিশালী বার্তা দেওয়ার জন্য এটি করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে সরকারের অবস্থান কী হতে চলেছে, তাও বলে দেয়।

্রিন্ট

আরও সংবদ