খুলনা | রবিবার | ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

খুলনা, যশোর, বরিশাল ও ফরিদপুরে বিদ্যুতের ব্ল্যাক আউট

খবর প্রতিবেদন |
১০:২০ পি.এম | ২৬ এপ্রিল ২০২৫

 

দেশের খুলনা, যশোর, বরিশাল ও ফরিদপুরে শনিবার সন্ধ্যায় বিদ্যুতের ব্ল্যাক আউট হয়েছে। এসব অঞ্চলের বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)-এর দায়িত্বশীল সূত্র বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে। 
শনিবার সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে আরপিসিএল-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার লিঃ এর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করায় এই কেন্দ্রটির সঙ্গে জাতীয় গ্রিড সংযুক্ত থাকায় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রভাবে খুলনা, যশোর, বরিশাল ও ফরিদপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। 
বিদ্যুৎ বিভাগের পরিচালক (জনসংযোগ) শামীম হাসান আজ রাতে বলেন, রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত পাওয়া খবরে লোড পুনরুদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালানো হয়। এ সময়ে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু হয়। রাতের (শনিবার) মধ্যে আশা করা হচ্ছে সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। 
ওজোপাডিকো-এর নির্বাহী পরিচালক (পরিচালন) আব্দুল মজিদ বলেন, যশোর, খুলনা, বরিশাল ও ফরিদপুর এলাকায় বিদ্যুতের ব্ল্যাক আউট হয়েছে। এসব এলাকায় ধীরে ধীরে বিদ্যুতের লাইন চালু হচ্ছে। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এসব এলাকায় লোড পুরোপুরি চালু হয়নি। সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা ৭টা খুলনার অনেক এলাকায় কম লোডে হলেও ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ আসতে শুরু করে। বরিশালে এ সময় গ্রিড চালু হলেও লোড নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফরিদপুরেও সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত লোড নেওয়া সম্ভব হয়নি। আর যশোরে কিছু এলাকায় কম লোডে বিদ্যুৎ আসতে শুরু করে।  
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির নির্বাহী পরিচালক (ওএন্ডএম) আব্দুল মোনায়েম চৌধুরী সন্ধ্যায় জানান, তারা লাইন মেরামতে কাজ করছেন।
যশোর প্রতিনিধির পাঠানো তথ্যে, বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যশোর-খুলনা অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা যায়। সন্ধ্যার পর থেকে আবার বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে থাকে।  
ওজোপাডিকোর পরিচালন ও সংরক্ষণ যশোর সার্কেলের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী অমূল্য কুমার সরকার জানান, বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে যশোর, খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চল ও পটুয়াখালীতে হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তবে ঠিক কী কারণে এই বিভ্রাট তা তিনি জানাতে পারেননি। তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকেই ত্র“টি মেরামত শুরু হয় এবং এবং বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করে।  
বরিশাল প্রতিনিধির তথ্যে, জাতীয় গ্রীড বিপর্যয়ে বরিশাল নগরীরসহ জেলার ১০ উপজেলা সন্ধ্যা থেকে অন্ধকারে। জাতীয় গ্রীড বিপর্যয়ের কারণে শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিক থেকে বরিশাল নগরীসহ ১০ উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়। 
পাওয়ার গ্রিড অব বাংলাদেশের বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান পলাশ বলেন, যান্ত্রিক ত্র“টির কারণে পাওয়ার গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে ৫টা ৫০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বরিশালসহ ২১ জেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়। এতে বরিশাল নগরীসহ জেলার ১০ উপজেলার ৮ লাখ ১২ হাজার গ্রাহক অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। সাড়ে ৭টার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়া শুরু হয়েছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ