খুলনা | রবিবার | ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

কুয়েটের ৪ শিক্ষার্থীর ওপর বহিরাগতদের হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:২২ এ.এম | ২৭ এপ্রিল ২০২৫


খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) চার শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত ৮টার দিকে কুয়েট সংলগ্ন নগরের ফুলবাড়ি গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত চার শিক্ষার্থীকে কুয়েট মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়া হয়েছে।

আহত শিক্ষার্থীরা হলেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ওবাইদুল্লাহ, গালিব রাহাত ও শেখ মুজাহিদ এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (টিই) বিভাগের মোহন। সম্প্রতি কুয়েটে যে আন্দোলন হয়েছে, তাতে তারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।

আহতদের একজন মোহন নামের শিক্ষার্থী জানায়, রাত ৮ টার দিকে তারা ফুলবাড়ীগেট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত এক ফুচকার দোকানে ফুচকা খেতে যায়। সেখানে ১০-১২ জন বহিরাগত তাদেরকে ডাক দিলে তারা বলে, আমরা কুয়েটের শিক্ষার্থী যা বলার এখানে বলেন।‎

‎তিনি আরো জানান, পরবর্তীতে ধাক্কাতে ধাক্কাতে গালিব রাহাতকে পাশের একটা দোকানে নিয়ে যায় এবং মারতে শুরু করে। মারধরের সময় তারা বলে, ভিসিকে কেনো নামাইলি এবং নামায়ে কেনো আনন্দ মিছিল করলি?‎

‎পরবর্তীতে মুজাহিদ, মোহন এবং ওবায়দুল্লাহ সবাইকেই মারধর করে। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা আহত অবস্থায় ক্যাম্পাসে এসে ক্যাম্পাসের মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি হয়।‎

‎এদিকে শিক্ষার্থীদের উপর আবারো বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে রাত সাড়ে দশটায় একটা প্রতিবাদ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা।‎

কুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক মো. আবদুল্লাহ ইলিয়াস আক্তার অপর এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ফুলবাড়ি গেটে গেলে এলাকার লোকজনের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে। চার জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তারা কুয়েট মেডিকেল সেন্টারে আছেন।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। ওই দিন দুপুরে সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল ও একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এরপর আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে ১৩ এপ্রিল বিকেল থেকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। ১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ১৮ ফেব্রুয়ারির সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। ১৪ এপ্রিল সিন্ডিকেটের সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়। এ ছাড়া ছাত্রদের ছয়টি ও ছাত্রীদের একটি হল খুলে দিয়ে ৪ মে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে ব্যর্থ হয়। তারা কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অনড় থাকেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

্রিন্ট

আরও সংবদ