খুলনা | রবিবার | ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

অপসারণ না হলে কঠোর কর্মসূচি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

তদন্তে কপিলমুনি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের নিয়োগে অর্থ গ্রহণের স্বীকারোক্তি

কপিলমুনি (পাইকগাছা) প্রতিনিধি |
০১:৫৫ এ.এম | ২৭ এপ্রিল ২০২৫


কপিলমুনি জাফর আউলিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতি, নারী কেলেঙ্কারী ও অসৎ আচরণের তদন্ত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে মাদ্রাসার নতুন ভবনে অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মানববন্ধন ও দুর্নীতির অভিযোগ সরেজমিনে তদন্ত আসেন জাফর আউলিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার সভাপতি ও খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল এ) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ শাহাজান আলী। শুনানিতে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা জানান, মাদ্রাসার অফিস রুমে স্বৈরাচারের দোসর দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে মানসিক নিপীড়নের শিকার শিক্ষকরা তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। সেই সাথে বেরিয়ে আসে তার সময়ে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের কাহিনী। মাদ্রাসার আয়ার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক ও মাদ্রাসায় জমি দানের কথা বলে নিজের নামে স্বল্পমূল্যে সাড়ে চার শতাংশ জমি লিখে নেওয়ার ঘটনা। একের পর এক দুর্নীতি সামনে আসায় তিনি হতভম্ব হয়ে পড়েন। পরে জমি দাতা পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন তদন্ত দল। এ সময় ১০ দিনের মধ্যে অধ্যক্ষের নামে লিখে নেওয়া সাড়ে চার শতাংশ জমি মাদ্রাসার নামে রেজিস্ট্রেশন করে দিতে নির্দেশ দেন। 
মাদ্রাসার শিক্ষকরা জানান, অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার আমাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তার অনৈতিক কাজে বাধা দিলে আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। বর্তমান আমরা নির্ভয়ে অভিযোগ দিয়েছি। তারা দ্রুত অপসারণ ও সব দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা শেষ করে দিয়েছেন অধ্যক্ষ সাহেব। তিনি মাদ্রাসা ফাঁকি দিয়ে কবিরাজি ব্যাবসা করেন। ঠিক মত মাদ্রাসায় আসেন না। অভিভাবকরা জানান, যদি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের অপসারণ ও বিচার না হয়, তাহলে আমাদের সন্তানদের এখানে পড়াশোনা করাবো না।
সাংবাদিকরা জানতে চাইলে আঃ সাত্তার বলেন, শিক্ষকদের অভিযোগে কিছুটা ভিন্নতা হয়েছে। নিয়োগে অর্থ গ্রহণের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন তৎকালীন এমপিসহ সংশ্লি¬ষ্ট প্রশাসকে ম্যানেজ করে কাজটি করতে হয়েছে।  
উলে­¬খ্য ২০ ফেব্র“য়ারি মাসে মাদ্রাসার ২০ জন শিক্ষকের স্বাক্ষরিত অভিযোগ ও ২৩ এপ্রিল ৬ জন নারী শিক্ষকের নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগেন তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে সংশ্লি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে মাদ্রাসার শিক্ষক ও অভিভাবকরা অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ