খুলনা | বৃহস্পতিবার | ০১ মে ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

মোহামেডানকে হারিয়ে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয় আবাহনীর

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
০৫:২২ পি.এম | ২৯ এপ্রিল ২০২৫


২০০৯-২০১০ মৌসুমের পর আর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) শিরোপা জিততে পারেনি মোহামেডান। এবারের আসরে দলটির জন্য শিরোপা জয়ের বড় সুযোগ ছিল। তবে ডিপিএলের অলিখিত ফাইনালে আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) আবাহনীর কাছে ৬ উইকেটের হারে মোহামেডানকে রানার্সআপেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। বিপরীতে, ২৪১ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ডিপিএলের হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতল হান্নান সরকারের আবাহনী।

এই ম্যাচের আগে ডিপিএলের পয়েন্ট টেবিলে এগিয়েই ছিল আবাহনী। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে না জিতলে আজকের অলিখিত ফাইনালেও নামতে হতো না ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। সেক্ষেত্রে আবাহনীর শিরোপার অপেক্ষা কিছুটা দীর্ঘ হয়েছিল কেবল। আগে ব্যাট করতে নেমে রনি তালুকদারের নেতৃত্বাধীন মোহামেডান ৭ উইকেটে ২৪০ রান তোলে। যা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের আবাহনী ৯.২ ওভার এবং ৬ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়েছে।

আবাহনীর ২৪১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মোহামেডানকে ভালো শুরু এনে দেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। তবে থিতু হয়েও তিনি ফেরেন ব্যক্তিগত ২৮ রানে। আরেক ওপেনার জিসান আলম ৫৫ রান করেন। এরপর শিরোপা নিশ্চিতের বাকি দায়িত্ব সারেন অধিনায়ক সৈকত এবং মোহাম্মদ মিঠুন। দুজনের জুটিতে আসে ১৩৫ রান। ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়া সৈকত অপরাজিত থাকেন ৭৮ রানে, এ ছাড়া মিঠুন করেন ৬৬ রান।

এর আগে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে ডিপিএল সুপার লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে মোহামেডান। এরপর ভালো শুরুও পায় দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও তৌফিক খান তুষারের জুটিতে। স্কোরবোর্ডে তারা যোগ করেন ৫০ রান। ১৬ রানে তুষার ফেরার পর দ্রুত তার পথ ধরেন রনিও। মোহামেডান অধিনায়ক ক্রিজ ছাড়েন ৫ রানের (৪৫) আক্ষেপ নিয়ে। ধীরগতির ইনিংস (৪২ বলে ১৫) আউট আনিসুল ইসলাম ইমনও।

মোহামেডানের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ফরহাদ হোসেন করেছেন ৪২ রান। ১২৪ রানে ৪ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আরিফুল ইসলাম। দুই জন মিলে গড়েন ৯০ রানের জুটি। দুজনেই ব্যক্তিগত ফিফটি করেছেন। সমান ৫০ রান করেই আউট হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ-আরিফুল। সেট ব্যাটাররা ফিনিশিং দিতে না পারায় হয়তো পুঁজিটা আরও বড় হয়নি মোহামেডানের।

্রিন্ট

আরও সংবদ