খুলনা | বুধবার | ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

দৌলতপুর দিবা-নৈশ কলেজ সভাপতির পদ বাগিয়ে অধ্যক্ষের পদে বসালেন বিতর্কিত শিক্ষককে

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:৫৭ এ.এম | ৩০ এপ্রিল ২০২৫


নগরীর দৌলতপুর দিবা-নৈশ কলেজে সভাপতি পদে নিয়োগ পেয়েছেন কলেজেরই সাবেক গণিত বিভাগের শিক্ষক মোঃ জয়নাল আবেদীন। তার নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। ১৫ এপ্রিল তাকে কলেজটির গভর্নিং বডির সভাপতি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ তাকে কলেজের আর্থিক অনিয়মের কারণে এক সময় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। 
তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর একক ক্ষমতা বলে কলেজের বহুল আলোচিত সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ এ এস এম আনিসুর রহমানকে গত ২২ এপ্রিল পুনরায় যোগদান করার নির্দেশ দিয়েছেন। এসব ঘটনায় কলেজের এডহক কমিটি এবং শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা মোঃ শাহাজান মোল­া গত ১৮ মার্চ জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শকের নিকট গভর্নিং বডির সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনয়নের জন্য ৬জনের একটি তালিকা পাঠায়। তালিকায় মোঃ জয়নাল আবেদীনের নাম ছিল না। তবে তিনি বিশেষ সুপারিশের ভিত্তিতে কলেজটির সভাপতির নিয়োগ পান। তালিকায় তার নাম না থাকার বিষয়টি জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন। 
এদিকে বহুল আলোচিত এবং শিক্ষক-কর্মচারীর নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্থকৃত কলেজটির অধ্যক্ষ এ এস এম আনিসুর রহমান স¤প্রতি পুনরায় কলেজে যোগদান করেছেন। অভিযোগ রয়েছে তার যোগদানের পিছনে সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদীনের একক ক্ষমতা এবং আর্থিক বিষয় রয়েছে।  তবে বিষয়টি অস্বীকার করেন সভাপতি। 
কলেজের এডহক কমিটির একাধিক সদস্য এবং শিক্ষক জানান, যেহেতু এ এস এম আনিসুর রহমান বরখাস্ত ছিলেন। আদালতে রিট করার পর বিষয়টি নিয়ে সভাপতির এডহক কমিটির সাথে মিটিং করে রেজুলেশন করা উচিত ছিল। এরপর পুনরায় নিয়োগ দিলে বিতর্কের সৃষ্টি হতো না। তাছাড়া আদালত থেকেও কোন আদেশ কলেজে আসেনি। 
এদিকে আগের এডহক কমিটি তদন্ত সাপেক্ষে দুর্নীতির কারণে এ এস এম আনিসুর রহমানকে বহিস্কারের পর পুনরায় এমনভাবে যোগদান করাটা অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে নীতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। কেউ অন্যায় করে আদালতের রিট আনলেই সকল সমস্যার সমাধান হয় না। ইতিপূর্বে কলেজের অনেক শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত হয়েছে। আদালতে রিটও করেছে। তবে আ’লীগের আমলে তারা কেউ এত সহজে পুনরায় যোগদান করতে পারিনি। 
কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ এ এস এম আনিসুর রহমান বলেন, গত ১৭ ফেব্র“য়ারি আমাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। আমি হাইকোর্টে রিট করার পর গত ২১ এপ্রিল পুনরায় যোগদান করেছি। 
কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, আর্থিক কোন বিষয় নেই। কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আমি যোগদান দিয়েছি। যেহেতু আদালত আমাকে মেনশন করেছে, তাই আমি এডহক কমিটির অন্য কারোর সাথে আলোচনা না করেই অধ্যক্ষকে পুনরায় যোগদান দিয়েছি। 
তবে সাময়িক বহিস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, আ’লীগের আমলে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তবে সেটি পরে প্রত্যাহার করা হয়। তার সভাপতি হওয়ার জন্য প্রস্তাবনা কিভাবে গেছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। 
 

্রিন্ট

আরও সংবদ