খুলনা | বৃহস্পতিবার | ০১ মে ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

রূপসা-কাজীবাছা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

বটিয়াঘাটার বালুমহল দখলে রাজনৈতিক নেতারা, নেই ইজারার সময়সীমা

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০২:০৫ এ.এম | ০১ মে ২০২৫


খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় রূপসা-কাজীবাছা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেই চলেছে একটি মহল। এই বালুমহল নিয়ে প্রতিবছর চলে নানা ছলাকলা। আওয়ামী সরকারের আমলে ইজারাদারকে চালাতো আওয়ামী নেতারা। সেখান থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করতো তারা। তবে বর্তমানে পট পরিবর্তনের পর একই প্রক্রিয়া চলছে ভিন্ন ব্যক্তিদের দ্বারা। গত ৫ আগস্টের পর থেকে এই বালুমহল দখলের একটি পাঁয়তারা চলছিলো। বর্তমানে বিএনপি’র জেলা পর্যায়ের বেশ কিছু নেতাদের মদদে চলছে বালু উত্তোলনের কার্যক্রম। ইজারার মেয়াদ শেষ হলেও চলছে বালু উত্তোলনের কার্যক্রম।  
জেলা প্রশাসন সূত্র বলছে, বাংলা ১৪৩১ অর্থ বছরে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ইজারা নিয়ে মেসার্স তাসিন এন্ড নাহিন এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান উক্ত বালু মহল থেকে টোল আদায় করে আসছিলো। ১৪৩১ সালের ৩০ চৈত্র শেষ হয়েছে এই ইজারার মেয়াদ। মেয়াদ শেষ হলেও উক্ত প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে বিএনপি’র কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ধারাবাহিকভাবে অবৈধ টোল (চাঁদা) আদায় করে আসছে একটি মহল। এছাড়া একটি মহল তাদেরকে চাঁদা দিয়ে লোড ড্রেজারের মাধ্যমে অবৈধভাবে দিন রাত বালু উত্তোলন করে আসছে। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে গত ২৯ এপ্রিল বটিয়াঘাটা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শরিফ শাওন তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যান এবং পরবর্তী ইজারা না দেয়া পর্যন্ত বালু উত্তোলন বন্ধ বলে নির্দেশনা দেন। 
এ বিষয়ে বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনেয়ারা তান্নীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগাযোগ করে বলেন পরবর্তীতে কাউকে ইজারা না দেয়া পর্যন্ত বালু মহল থেকে বালু উত্তোলন ও চাঁদা আদায় সম্পূর্ণ অবৈধ। যদি কোনো অসাধু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বালু উত্তোলনের চেষ্টা করে তাহলে আমাকে জানালে আমি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিবো।

্রিন্ট

আরও সংবদ