বেসরকারি সংস্থা জাগ্রত যুব সংঘ-জেজেএস আয়োজিত মিডিয়া সংলাপে উপক‚লীয় এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনায় নারী ও শিশুদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নেয়ার আহŸান জানানো হয়েছে। কেননা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আশ্রয়কেন্দ্রে নারী ও শিশুরাই বেশি দুর্ভোগের শিকার হয় বলে মন্তব্য তাদের। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের জন্য এলাকা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা জরুরি বলেও বক্তারা মনে করেন। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপক‚লীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ক্রমাগত হুমকি হয়ে উঠেছে। যা নারী ও মেয়েদের উপর গুরুতর আর্থ-সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি করছে। এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে নারী ও মেয়েরা তুলনামূলকভাবে বেশি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় উল্লেখ করে বক্তারা উপক‚লীয় অঞ্চলে আশ্রয়কেন্দ্রে নারীদের জন্য পৃথক স্থান, নিরাপদ ল্যাট্রিন এবং পর্যাপ্ত আলোর সুবিধা সম্বলিত আশ্রয়কেন্দ্র তৈরির দাবি জানান। একই সাথে গর্ভবতী নারী এবং প্রতিবন্ধী ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য উঁচু আশ্রয়কেন্দ্রের সাথে সঠিক যাতায়াত ব্যবস্থা সম্বলিত আশ্রয়কেন্দ্রের নকশা প্রণয়নেরও দাবি জানানো হয়।
উপক‚লীয় এলাকার নারী ও মেয়েদের দুর্যোগ বিপদাপন্নতা বিষয়ে গবেষণার ফলাফল ও কমিউনিটির প্রতিনিধিদের বক্তব্য উপস্থাপন বিষয়ে গতকাল বুধবার সকালে নগরীর একটি ডায়ালগ সেন্টারে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
জাপানের শাপলা নীড়ের সহযোগিতায় জেজেএস স¤প্রতি কয়রা উপজেলার কয়রা সদর, উত্তর বেদকাশি ও দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নে তিনশ’ মানুষের ওপর যে জরিপ পরিচালনা করে তার ওপরই এ মিডিয়া সংলাপের আয়োজন করা হয়।
জেজেএস’র নির্বাহী পরিচালক এটিএম জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প সমন্বয়ক নাজমুল হুদার সঞ্চালনায় এ সময় জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান এবং এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দাবিনামা তুলে ধরেন কয়রা সদরের বাসিন্দা মোঃ মনিরুজ্জামান ও তাজরিন নাহার।
সংলাপে অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত শুভ, খুলনা প্রেসক্লাবের আহবায়ক এনামুল হক ও সদস্য সচিব রফিউল ইসলাম টুটুল এবং বিএফইউজে’র সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সাংবাদিক আবু তৈয়ব, মামুন রেজা, মোঃ তরিকুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক রানা, মাকসুদুর রহমান মাসুদ, খলিলুর রহমান সুমন, গাজী মনিরুজ্জামান, আশরাফুল ইসলাম নূর, শেখ আল এহসান, দিপংকর রায় প্রমুখ।