আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ছল-চাতুরি করলে জনগণ তা মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) নেতৃবৃন্দ।

এনসিপির নেতারা বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে লাল কার্ড দেখিয়ে ছাত্রজনতা দিল্লি পাঠিয়েছে। জনগণ তাদেরকে দেখতে চায় না। কিন্তু কেউ কেউ এই স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে মরিয়া হয়েছেন। এটি একটি সুষ্ঠু রাজনীতির জন্য সুখকর নয়। আ.লীগ নিষিদ্ধে কোনো ছল-চাতুরি মেনে নেওয়া হবে না।

শুক্রবার (০২ মে) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইটে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন এনসিপির নেতারা।

গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন এনপিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, দক্ষিণ অঞ্চলের মূখ্য হাসনাত আব্দুল্লাহ, আব্দুল হান্নান মাসুদ, ডা. তাসনিম জারা, ফাতেমা উমামা, শামান্তা, শিশির প্রমুখ। সমাবেশের সার্বিক নিরাপত্তায় ডিএমপির কয়েকটি থানা কাজ করছে৷

সমাবেশে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা মশিউর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে আর রাজনীতি করতে পারবে না—এই সিদ্ধান্ত গত ৫ আগস্ট হয়ে গেছে৷

আরেক কেন্দ্রীয় নেতা আবু সাঈদ মূসা বলেন, আওয়ামী লীগ মাঠে নামার চেষ্টা করলে এনসিপি তাদের রাজপথে মোকাবিলা করবে৷

কেন্দ্রীয় নেতা জয়নাল আবেদিন শিশির বলেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং খুনি হাসিনা ও তাঁর দোসরদের বিচার অবশ্যই হতে হবে৷ এই দাবি আদায়ে এনসিপি মাঠে আছে, থাকবে৷

এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকার বলেছেন, ফাঁসির দড়ি ছাড়া হাসিনার দেশে ফেরার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, যারা মনে করছেন শেখ হাসিনা দ্রুতই দেশে ফিরবে, তাদের জন্য বলতে চাই- শেখ হাসিনা শুধু একটি কারণেই বাংলাদেশে ফিরতে পারেন তা হলো ফাঁসির দড়ি গলায় ঝোলাতে।

মাহিন সরকার ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানকে ‘বিশ্বের বৃহত্তম ইলেকট্রনিক বিপ্লব’ বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, এই বিপ্লব কেবল বাংলাদেশের নয়, কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষদের প্রতিও এক ধরনের আশার বার্তা।

ঢাকা মহানগরীর আয়োজনে এই সমাবেশে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীরা যোদ দিয়েছেন। সমাবেশে মিছিলে মিছিলে যোগ তারা। ঢাকা মহানগরী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা সমাবেশে অংশ নেন। এছাড়া বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষও যোগ দিয়েছেন এনসপির সমাবেশে।