খুলনা | বুধবার | ০৭ মে ২০২৫ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩২

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হামলা, ভাঙচুর, সেবা বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা |
১২:৩৪ এ.এম | ০৪ মে ২০২৫


প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর ওয়ার্ডে গিয়ে চিকিৎসক না পাওয়ায় রোগীর স্বজনরা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 
এদিকে এ ঘটনার পর জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সেবা দেয়া বন্ধ করে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ে দূর-দূরন্ত থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা। এ ঘটনা জানার পর স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। 
খোঁজ নিয়ে জানা যায় শনিবার সকালে শাহিনুর নামের এক রোগী সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে ইনডোরে ভর্তি হন। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসককে না পেয়ে রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে তারা ফের জরুরি বিভাগে ফিরে এসে কর্তব্যরত স্টাফদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়ান। একপর্যায়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি সোহেল আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে স্টাফদের ওপর হামলা চালিয়ে জরুরী বিভাগ ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এ সময় জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসককেও মারপিট করা হয় বলে অভিযোগ উঠে। 
হামলার সময় হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন। ফলে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ ফয়সাল আহমেদ বলেন, ১০/১২ জন ব্যক্তি জরুরি বিভাগে হামলা চালিয়েছে। এতে চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে জরুরি বিভাগে সেবা দেওয়ার মতো পরিবেশ নেই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সোহেল আহমেদ মানিক বলেন, আমি রোগীর সাথে ছিলাম, জরুরি বিভাগ কারা ভাঙচুর করেছে আমি জানি না। ভাঙচুরের সময় আমি সেখানে ছিলাম না।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ অব্দুস সালাম জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শাহিন নামে স্থানীয় একজন রোগী মারাত্মক আহত হয়ে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে সেলাই দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করে ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেন। রোগী ওয়ার্ডে যাওয়ার পর সেখানে তারা ডাক্তার খুঁজতে থাকেন। আসলে ওয়ার্ডে তো সব সময় ডাক্তার থাকে না। আউটডোর থেকে ডাক্তার ডেকে নিয়ে যেতে হয়। ওয়ার্ডে ডাক্তার না পেয়ে তারা জরুরি বিভাগে এসে ভাঙচুর করে। জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকের সাথে খারপ আচারণ করে এবং ভাঙচুর করে। এ সময় স্টাফদেরকে মারপিট করে। এছাড়া জরুরি বিভাগের সমস্থ ফার্নিচার ভাঙচুর করে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমরা থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা আশা করছি পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে। 
 

্রিন্ট

আরও সংবদ