খুলনা | সোমবার | ০৫ মে ২০২৫ | ২২ বৈশাখ ১৪৩২

গবাদি পশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ : ফরিদা আখতার

এবার কোরবানিযোগ্য পশু সোয়া কোটি উদ্বৃত্ত থাকতে পারে ২০ লাখ

খবর প্রতিবেদন |
০১:০৪ এ.এম | ০৫ মে ২০২৫


ঈদুল আযহায় সর্বমোট কোরবানিযোগ্য মোট গবাদি পশুর সংখ্যা এক কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি। এবার প্রায় ২০ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৫টি গবাদিপশুর উদ্বৃত্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
রোববার সচিবালয়ে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উদ্যাপন উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ চলাচল বা পরিবহন নিশ্চিতে সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রতি বছরের মতো এ বছরও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা নিরূপণ করেছে। এ বছরে কোরবানিযোগ্য হৃষ্টপুষ্টকৃত গবাদিপশুর মধ্যে ৫৬ লাখ ২ হাজার ৯০৫টি গরু-মহিষ, ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০টি ছাগল-ভেড়া এবং ৫ হাজার ৫১২টি অন্যান্য প্রজাতিসহ সর্বমোট এক কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি গবাদিপশুর প্রাপ্যতা আশা করা যাচ্ছে। এ বছর প্রায় ২০ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৫টি গবাদিপ শুর উদ্বৃত্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
অবৈধ উপায়ে গবাদি পশুর অনুপ্রবেশ রোধে সরকার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। আজকের (রোববার) পর থেকে গবাদি পশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোরভাবে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানান তিনি।
ফরিদা আখতার বলেন, আমাদের আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আন্তঃসীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে গবাদিপশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিজিবি, বাংলাদেশ পুলিশ, কোস্ট গার্ড, জেলা প্রশাসন, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সমন্বিতভাবে কাজ করবে। 
কোরবানির পশু পরিবহনে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাসে বা গণপরিবহনে, বাসের লকআপে ছাগল ও ভেড়া পরিবহন যেন না করা হয় সে বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে। প্রাণিকল্যাণ আইন ২০১৯ অনুযায়ী কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ পরিহার করতে হবে এবং যথাযথ পরিবহনের মাধ্যমে পরিবহন নিশ্চিত করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে প্রাণিকল্যাণ আইন ২০১৯ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কোরবানির পশু সরবরাহের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হবে। উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া ট্রেন ও নৌপথে পশু সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রাণিকল্যাণ আইন ২০১৯ মেনে চলতে হবে।
গবাদিপশুর হাটে পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা উলে­খ করে ফরিদা আখতার বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সিটি কর্পোরেশনের যৌথ সহযোগিতায় গবাদিপশুর হাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ও বর্জ্য অপসারণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে পশু কোরবানির বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রাণী স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপদ মাংস নিশ্চিতকরণে প্রাণিকল্যাণ আইন ২০১৯ প্রতিপালন করতে হবে। গবাদি পশুর হাট ও পরিবহনের সময় পর্যাপ্ত খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ