খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) ডিসিপ্লিনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী  তৌকির আহমেদ আবিদ আত্মহত্যা করেছে। সোমবার দুপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংলগ্ন শাহ শিরিন সড়কের ভাড়া বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাড়ির কেয়ারটেকার সিয়াম জানান, তিন তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে আবিদ একা থাকতেন। দুপুর ১টার দিকে পাশের কক্ষের আরেক ছাত্র ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আবিদের কক্ষে যায়। বেশকিছু সময় ডাকাডাকির পর দরজা না খোলায় দরজার ছিদ্র দিয়ে দেখে ছাদের সঙ্গে তার লাশ ঝুলছে। তখন অন্য শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের খবর দিলে তারা দরজা ভেঙে ফেলে। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
সহপাঠীদের ভাষ্যমতে, আবিদ দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। তার মৃত্যুর খবর শুনে বন্ধুবান্ধব, শিক্ষকসহ পুরো ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া নেমে আসে।
হরিণটানা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ খাইরুল বাশার বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আবিদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ওই শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে তিনি জানান।
খুবির উপাচাযের্র শোক : বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) ডিসিপ্লিনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌকির আহমেদ আবিদ-এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ, মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম। 
অনুরূপভাবে শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী, বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আশরাফুল আলম, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমান, ইসিই ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ মিজানুর রহমান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।