খুলনা | বুধবার | ০৭ মে ২০২৫ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩২

সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক আক্তারুলকে পিটিয়ে এলাকা ছাড়া করার হুমকি ছাত্রদল নেতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা |
১২:৪১ এ.এম | ০৭ মে ২০২৫


সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক ও কলারোয়ার পৌরসভার সাবেক মেয়র গাজী আক্তারুল ইসলামকে পিটিয়ে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন ছাত্রদল নেতা জি এম সোহেল। জেলা বিএনপি কর্তৃক নবগঠিত সার্চ কমিটির বিরুদ্ধে মঙ্গলবার কলারোয়ায় অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্যেকালে তিনি এই হুমকি দেন। 
সোহেল কলারোয়া পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব। জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহŸায়ক গাজী আক্তারুল ইসলাম কলারোয়া সার্চ কমিটি গঠনের দায়িত্বে ছিলেন না। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি এলাকায় সার্চ কমিটি গঠনের দায়িত্ব পালন করছেন। 
ছাত্রদল নেতার এই ধরনের বিতর্কিত বক্তব্যের পর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা। তারা বলেন, শেখ হাসিনার গাড়িবহরের মিথ্যা মামলায় মেয়র আক্তারুল দীর্ঘ সাড়ে চার বছর জেলে ছিলেন। ২০১১ এবং ২০১৫ সালে মেয়র নির্বাচনে নির্বাচিত হলেও আওয়ামী লীগ তাকে পুরো মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে দেয়নি। আক্তারুল কলারোয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতিও ছিলেন। 
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে জি এম সোহেল বলেন, আজ আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দেব না। যারা এই কলারোয়ার নব রাজনীতির সূচনা করতে যাচ্ছে, ডিমের কুসুম থেকে বের হয়ে ৫ আগস্ট পরবর্তী জেলখানা থেকে এসে যারা এই কলারোয়ায় আওয়ামী মার্কা রাজনীতি পরিচালনা করতে যাচ্ছেন। দ্যর্থহীন কণ্ঠে বলে দিতে চাই, কলারোয়া ছাত্রদল কলারোয়ার সাবেক মেয়রকে প্রতিরোধ করার জন্য যথেষ্ট।
এ সময় হুমকি দিয়ে তিনি আরো বলেন, ছাত্রদল যদি মনে করে আপনাকে (মোঃ আক্তারুল ইসলাম) ৫ ঘণ্টার মধ্যে কলারোয়া থেকে বিতাড়িত করে দেবে ইনশাআল­াহ। কলারোয়ার সাবেক মেয়র ৯ বছর পৌরসভায় ছিল। বিএনপি’র একটি লোকও কি উপকৃত হয়েছে? আমার নেত্রী, আমার মা খালেদা জিয়ার নামে সে একটি ব্যানার ধরেছে? তার নেতা-কর্মীরা ধরেছে? বিগত আন্দোলনে সাবেক মেয়রের নেতা-কর্মীরা কলারোয়ার কোথাও কোনো অবস্থান নিয়েছিল?
জিএম সোহেল আরও বলেন, কলারোয়ার সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলেমিশে ঠিকাদারি ব্যবসা পরিচালনা করেছেন। আমরা কিন্তু সবকিছুই জানি। দেশ নায়ক তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে আমরা ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছি। আমরা কিন্তু এতোটা ধৈর্যশীলও না।
ছাত্রদল নেতা বলেন, ওই কালো বিড়াল কলারোয়ার নব রাজনীতির কুলাঙ্গার, ওই স্বপনের সঙ্গে আতাত করে সর্বশেষ কলারোয়া পৌরসভার ভোটে নির্বাচিত হওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, কলারোয়াবাসী সেই ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে লাল কার্ড দেখিয়েছিল। সময় আছে, এখনো সঠিক পথে ফিরে আসুন। বাবা এবং সন্তানের পার্থক্য, অভিজ্ঞতার পার্থক্য বুঝতে চেষ্টা করেন। নতুবা পিটিয়ে কলারোয়া থেকে ছাড়িয়ে (বের করে) দেব।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু বলেন, ঘটনা আমরা শুনেছি। একজন ছাত্রদল নেতা একজন বিএনপি নেতাকে এভাবে বলতে পারেনা। সে সীমা লঙ্ঘন করেছে,  চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। কেউ সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হলে বা সংগঠনের সুনাম নষ্ট করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। 
 

্রিন্ট

আরও সংবদ