খুলনা | সোমবার | ১২ মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

যশোরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, আটক ৬

খবর প্রতিবেদন |
০৪:৩৯ পি.এম | ১১ মে ২০২৫


যশোরের ঝিকরগাছায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনায় আহত দুই ভাইয়ের একজন মারা গেছেন। নিহত প্রবাসী আশাদুল হক আশা (৪০) ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের বালিয়া গোরশুটি গ্রামের আতাউল হক মোড়লের ছেলে। আহত তার বড় ভাই মহিদুল ইসলাম (৪২) যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১০ মে) সন্ধ্যায় ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের ছুটিপুর জামতলা মোড়ে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুটি গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন অসন্তোষ চলে আসছিল। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় দুই ভাই তাদের লোকজন নিয়ে প্রথমে ছুটিপুর বাজারে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। ওই সময় লোকজনের বাধার মুখে তারা স্থান ত্যাগ করে। ঘণ্টাখানেক পর আশা ও মহিদুল দুই ভাই তাদের জামতলা মোড় দলীয় অফিস থেকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বের হন। পথিমধ্যে বাজার কমিটির সভাপতি কাগমারী গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে বিপ্লব, গঙ্গানন্দপুর গ্রামের রমজানের ছেলে নশু, জিওলিগাছা গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে সিরাজ ও কাগমারী গ্রামের লুৎফর খাঁর ছেলে মোহর তাদের উপর হামলা করে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত আশাকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্যে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

নিহত আশার বড় ভাই শহিদুল ইসলাম রবিবার (১১ মে) দুপুরে বলেন, ‘আমার ভাই দীর্ঘদিন ওমানে ছিল। সে এবং যারা তাকে মেরেছে সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। স্থানীয় বাজারে দলীয় একটি কার্যালয় করাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে কলহ হয়। গতকাল সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষরা আমার দুই ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। গুরুতর আহত আশাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এরপর ঢাকার একটি হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ যশোরে আনা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, ‘তারা বিএনপির কর্মী, দলীয় কোনও পদ নেই। বিদেশ থেকে ফেরার পর আশা এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। যারা মেরেছে তারাও একই সঙ্গে ওঠাবসা করতো।’

ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাবলুর রহমান খান বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতের বোন নাসিমা বেগম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও একজনের নামে একটি মামলা করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে।’

্রিন্ট

আরও সংবদ