খুলনা | সোমবার | ১২ মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

অধ্যাদেশ অনুমোদন : রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ

‘সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তি ও সংগঠন নিষিদ্ধ করা যাবে’

খবর প্রতিবেদন |
০৫:৫৮ পি.এম | ১১ মে ২০২৫


সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত রয়েছে এমন ব্যক্তি বা সত্তা (সংগঠন) এবং তাদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।
রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে এ খসড়া অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, কতিপয় সন্ত্রাসী কার্য প্রতিরোধ এবং উহাদের কার্যকর শাস্তির বিধানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করার নিমিত্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়। এ আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, কোনো ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী কার্যের সহিত জড়িত রয়েছে মর্মে যুক্তিসংগত কারণের ভিত্তিতে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত ব্যক্তিকে তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারে বা সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, তবে বর্তমান আইনে কোনো সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের বিষয়ে কোনো বিধান নেই। এই বিষয়টি স্পষ্টীকরণসহ বিধান সংযোজন আবশ্যক হেতু সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-কে সময়োপযোগী করে উক্ত আইনের অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজন।
এই প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, প্রয়োজনীয় অভিযোজন করা এবং অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধকরণের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আজ (সোমবার) সংশোধনীটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হতে পারে বলেও প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ : রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। শনিবার রাতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ গেজেট জারি করা হয়। রোববার বিষয়টি জানা গেছে।
প্রকাশিত গেজেটে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (দ্বিতীয় সংশোধনী) অর্ডিন্যান্স, ২০২৫ প্রণয়ন ও জারি করেছেন।
সংশোধিত আইনের আওতায় কোনো সংগঠন যেমন রাজনৈতিক দল বা তার সহযোগী কোনো সত্তা যদি আন্তর্জাতিক অপরাধে জড়িত থাকে বলে ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রতীয়মান হয়, তাহলে ওই সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ করা, নিবন্ধন বা লাইসেন্স বাতিল এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা ট্রাইব্যুনাল পাবে।
এ বিষয়ে গতকাল শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্র্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানান, জুলাই আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনতে এ সংশোধনী আনা হয়েছে। একইসঙ্গে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব কার্যক্রম, বিশেষ করে সাইবার স্পেসে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নতুন আইন অনুযায়ী, সংগঠন সংশ্লিষ্ট যেকোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি আন্তর্জাতিক অপরাধে সহায়তা, নির্দেশনা, প্ররোচনা, ষড়যন্ত্র বা অংশগ্রহণ করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ