খুলনা | বুধবার | ১৪ মে ২০২৫ | ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

রমনায় বোমা হামলা মামলা : ২ জনের যাবজ্জীবন, অন্যদের ১০ বছর সাজা

খবর প্রতিবেদন |
০৩:২৩ পি.এম | ১৩ মে ২০২৫

 

রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাওলানা তাজ উদ্দিনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। অন্য আসামিদের মধ্যে কেবল একজনের যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রেখে বাকিদের সবার সাজা কমিয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা রুবি।

হাইকোর্টের রায়ে একজন ছাড়া আপিল করা সব আসামির সাজা কমানো হয়েছে। ১ জনের মৃত্যুদণ্ড থেকে কমিয়ে যাবজ্জীবন, ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড থেকে কমিয়ে ১০ বছর, ৩ জনকে যাবজ্জীবন থেকে কমিয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কেবল এক আসামির যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। একজনের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এবং দুজন এরই মধ্যে মৃত্যুবরণ করায় তাদের বিষয়টি রায় ঘোষণায় আসেনি।

১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আকবর হোসেন, আরিফ হাসান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আবদুল হাই, শফিকুর রহমান, সাব্বির, শেখ ফরিদ ও আবু তাহের। যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রাখা আসামি হলেন শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল।

আসামি মুফতি হান্নান, আব্দুর রউফ ও ইয়াহিয়া মারা যাওয়ায় তাদের ক্ষেত্রে এ মামলা অকার্যকর ঘোষণা করা হয়েছে।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় ঘটনাস্থলেই ৯ জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান এক জন।

এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। ঢাকার দায়রা জজ রুহুল আমিন হত্যা মামলার রায়ে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

এরপর ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিলের শুনানির জন্য মামলাটি হাইকোর্টে আসে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি মুফতি হান্নান সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী হত্যা মামলায়ও মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার পর ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এছাড়া জজ আদালতে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আব্দুর রউফ ও ইয়াহিয়া হাইকোর্টে আপিল শুনানি অপেক্ষমাণ থাকা অবস্থায় মারা যান। সে কারণে এই তিনজনের নাম মামলা থেকে বাদ যায়। বাকি ১১ জনের বিষয়ে আজ হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ