খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৫ মে ২০২৫ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পার পেয়েছেন চেয়ারম্যান ও সচিব

যশোর বোর্ডের ৭ কোটি টাকার চেক জালিয়াতি মামলার পরোয়ানাভুক্ত দু’জনের আত্মসমর্পণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর |
০১:০৭ এ.এম | ১৫ মে ২০২৫


যশোর শিক্ষাবোর্ডের বহুল আলোচিত সাত কোটি টাকার চেক জালিয়াতি মামলার পরোয়ানাভূক্ত দুই আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। এ সময় তাঁরা জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক।
বুধবার যশোরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম আসামিদের জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আত্মসমর্পণকারী আসামিরা হলেন শহরের পোস্ট অফিসপাড়ার গাজী নুর ইসলাম ও শেখহাটি জামরুল তলার আশরাফুল আলম। দুদকের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সিরাজুল ইসলাম দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, যশোর শিক্ষাবোর্ডের ৩৮টি চেক ঘষামাজা করে পৌনে ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা হয়। ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের তৎকালীন উপপরিচালক আল-আমিন শিক্ষাবোর্ডের আলোচিত চেক দুর্নীতি মামলার তদন্ত শেষে ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
আসামিরা হলো, যশোর শিক্ষাবোর্ডের বরখাস্ত হওয়া হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম, ঠিকাদার ভেনাস প্রিন্টিং এ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবু, শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার আশরাফুল আলম, পোস্ট অফিসপাড়ার গাজী নূর ইসলাম, বড় বাজার জামে মসজিদ লেনের প্রত্যাশা প্রিন্টিং প্রেসের মালিক রুপালী খাতুন, উপ-শহর ই-ব্লকের সহিদুল ইসলাম, রকিব মোস্তফা, শিক্ষাবোর্ডের সহকারী মূল্যায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, নিম্নমান সহকারী জুলফিকার আলী, চেক ডেসপাসকারী মিজানুর রহমান ও কবির হোসেন। 
অথচ এ মামলার অন্যতম আসামি ও চেকে স্বাক্ষরকারী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ড, মোল­া আমীর হোসেন ও সচিব আলী আর রেজাকে চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
চলতি বছরের ফেব্র“য়ারি মাসে এ মামলার চার্জশিটের ওপর শুনানি শেষে চার্জশিট গ্রহণ ও অভিযুক্ত ১১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। এ মামলার আসামি গাজী নুর ইসলাম ও আশরাফুল আলম দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। গত মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেলে তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ